অসুস্হ আতাউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার পাশে নেই তাঁর দল  নেই কোন মুক্তিযোদ্ধা

February 14, 2019,

এইচ ডি রুবেল॥ ৭১এর রণাঙ্গণে অস্ত্রহাতে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছেন সেই যুদ্ধজয়ী ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান আতা। একজন বীর মুুক্তিযোদ্ধা। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। রাজনৈতিক জীবনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।একটা সময় মানুষের জন্য নিজের পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেননি। দেশ এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হওয়া সত্ত্বেও আজ তার পাশে কেউ নেই। পারকিনসন্স ডিজিজে দীর্ঘদিন থেকে গৃহবন্দি। কেউ তার খোঁজ নেয় না। ক্ষমতার মোহে বড় বড় নেতারা হয়তো ভুলে গেছেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই আতার কথা।

তাঁর চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল হওয়াতে ঠিক মতো চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। অত্যন্ত সামাজিক এ মানুষটি এখন বড়ই একা। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দলীয় দুই-চারজন নেতা কর্মী আগে আসলেও, এখন কেউ আর দেখতেও আসেন না। মাঝে মাঝে দু একজন মুক্তিযোদ্ধা আসলেও এখন আর তেমন কেউ খোঁজ-খবরও রাখেন না।

মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এ ভূখন্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা না পান, বিনা চিকিৎসায় নি:শেষ হতে হয়। তাহলে কি প্রয়োজন ছিলো ৯ মাস জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করার? মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হয়। বাস্তবে সেটা কতটা সত্যি?

শুধু আতাউর রহমান নয়, সকল মুক্তিযোদ্ধার এবং সময়ের দাবি মুকিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় খরচে সম্পন্ন করা। নয়তো সুচিকিৎসার অভাবে যদি মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়, তাহলে সেই কলঙ্কের ভার আমাদেরকেই বহন করতে হবে। যাদের ত্যাগ- তিতিক্ষার বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বাধীন ভূখন্ডে তাঁরা বিনা চিকিৎসায় মরতে পারে না।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com