কমলগঞ্জে হিমালয়ান গ্রীফন শকুন উদ্ধার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জে একটি গ্রাম থেকে ক্ষুধার্ত, দুর্বল প্রকৃতির একটি হিমালয়ান গ্রীফন শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারী রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার জালালিয়া গ্রাম থেকে বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শকুনটি উদ্ধার করে।
বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান জানান, রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে ধান ক্ষেতে স্থানীয় লোকজন শকুনটি দেখতে পেয়ে সেটিকে ধরে পায়ে দড়ি বেঁধে আটকে রাখে। গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রোববার দুপুরে তিনি (সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান) উদ্ধার করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে উদ্ধার করা শকুনটিকে খাবার হিসাবে গো-মাংস দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, শকুনটি ক্ষুধার্ত ও দুর্বল বলে উড়তে পারছিল না। আপাতত এটিকে জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে রেখে খাবারসহ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শকুনটি উড়তে সক্ষম হলে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
শকুনটি হিমালয়ান গ্রীফন শকুন। বাংলাদেশে এই শকুন মহাবিপন্নের তালিকায় রয়েছে। তীক্ষ্ম দৃষ্টির অধিকারী শিকারী পাখি হিসাবে একটি নির্মল পরিবেশে সুন্দর প্রকৃতি, সুস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। প্রকৃতিগতভাবে মৃত প্রাণির দেহ ও আবর্জনা খেয়ে থাকে বর্জভূক এই প্রাণিটি। পৃথিবীতে ২৩ প্রজাতি শকুন রয়েছে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ৬ প্রজাতির শকুনের মধ্যে বাংলা শকুনটি-ই কোনমতে টিকে আছে।
মন্তব্য করুন