কমলগঞ্জ মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ

September 5, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার : কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে টেন্ডার ছাড়া লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক ও প্রাক্তন সভাপতি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েক মাস পূর্বে বিদ্যালয় আঙ্গিনার আকাশিয়া, জামসহ সতেরটি বৃহদাকার গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন এবং গাছের টাকা প্রাক্তন সভাপতির কাছে রয়েছে বলে জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আসিদ আলী মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। এই সুবাদে নিজের প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজস করে যুক্তভাবে গাছগুলো বিক্রি করেন। গাছ বিক্রির জন্য কমিটির কোনো রেজ্যুলেশন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিংবা ইউএনও’র কোনো অনুমতি ছাড়া আকাশিয়া, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় আকৃতির সতেরটি গাছ এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রিকৃত গাছের টাকা প্রধান শিক্ষক ও প্রাক্তন সভাপতি নিজেরা ভাগ করে নিয়েছেন। গাছের এই টাকার বিন্দুমাত্রও বিদ্যালয় কাজে ব্যবহার করেননি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সদস্য মো. সায়েদ মিয়া জানান, কোনো রেজ্যুলেশন ও টেন্ডার ছাড়া গাছ গুলো বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। কমিটিতে থাকাকালীন সময়ে স্কুল ফান্ডের হিসাব নিকাশ চাইলেও পাওয়া যেতো না। তাদের ধাপট ছিল প্রবল। সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যও করেছেন। ফলে পড়াশুনা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ভালো নেই। মাধবপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, অবৈধভাবে গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা রয়েছে। প্রাক্তন সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান থাকলেও এলাকার একটি মামলার কারনে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতি রয়েছে। তিনি গাছ বিক্রিই নয়, স্কুল ফান্ডের টাকাও ইচ্ছেমতো খরচ করছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ে প্রতিদিন দেড়, দুই ঘন্টা দেরিতে আসেন। এতে পড়াশুনার মান খুবই নিম্নগামী।

অভিযোগ বিষয়ে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, সতেরটি গাছ বিক্রি করেছেন প্রাক্তন সভাপতি আসিদ আলী। বিক্রিকৃত গাছের ৬২ হাজার টাকা উনার কাছে জমা রয়েছে।

তবে বক্তব্য জানতে আসিদ আলীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com