কুলাউড়ায় মেরিনা ইয়াসমিন চৌধুরীর শীতবস্ত্র বিতরণ

কুলাউড়া অফিস॥ বাংলাদেশের অন্যতম নারী উদ্যোক্তা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের স্পন্সর ডাইরেক্টর মিসেস মেরিনা ইয়াসমিন চৌধুরী’র ব্যক্তিগত অর্থায়নে
২১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে কুলাউড়া রেলওয়ে জুনিয়র হাইস্কুলে উপজেলা ব্যাপি দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরন করা হয়।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রির সফর সঙ্গী ও ৭০ তম অধিবেশনে বাল্যবিবাহ নিয়ে বক্তব্য প্রদানকারী কুলাউড়ার মনি বেগমের সভাপতিত্বে এবং প্রাইম ব্যাংকের কর্মরত অফিসার সঞ্চয়িতা সেনগুপ্ত দোলা ও মোঃ লুবলুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ নাজিম উদ্দিনের সহধর্মিনী আমিনা খানম, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মমদুদ হোসেন, কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলী, কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুশীল সেনগুপ্ত, মানবঠিকানার বার্তা সম্পাদক চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ, জয়িতা গিতা দেবরায়, বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির পাঠোয়ারী প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য, তেলাওয়াত, গীতাপাঠ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, চুমকী চন্দ, শিরিন আক্তার সোহা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছালাম, রাউৎগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখশ, সাপ্তাহিক কুলাউড়ার ডাক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও নিউ নেশন প্রতিনিধি এম. মছব্বির আলী, দিনকাল প্রতিনিধি মোক্তাদির হোসেন, যুগভেরী প্রতিনিধি আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ টুডে প্রতিনিধি শাকির আহমেদ, জাতীয় সাপ্তাহিক অর্থকাল’র মৌলভীবাজার ব্যুরো প্রধান মাহফুজ শাকিল, সাপ্তাহিক জনতার নিঃস্বাস এর সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি ইউসুফ আহমদ ইমন, পূর্বপশ্চিম প্রতিনিধি এম এ কাইয়ুম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, একার পক্ষে সমগ্র বাংলাদেশের দরিদ্রতা দূর করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তিনি মনি বেগমের উদাহরণ দিয়ে বলেন, মনি বেগমের মতো এলাকার মেয়েদেরকেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, সমাজে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার ও শ্রমের কোন বিকল্প নেই। ‘অসহায়, বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে কষ্ট হলেও, করার পর আত্মতৃপ্তি মেলে। যারা সমাজের জন্য কাজ করেন তারা এই অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারবেন।
কুলাউড়ার অসহায় মানুষের জন্য আমি একা কাজ করলে হবে না, সবাইকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের শ্বশুরবাড়ি কুলাউড়া নিয়ে তিনি বলেন ‘আমি আমার কর্মক্ষত্রে অসহায় দারিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে কুলাউড়াকে প্রাধান্য দেই, নিজের বাড়ি সুনামগঞ্জকে নয়। ওখানে আমার ভাইদের বউরা কাজ করবে। আমি কুলাউড়ার রানী, সুনামগঞ্জের রানি নই।’ এসময় তিনি জরাজীর্ণ রেলওয়ে জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য বিশেষ অনুদান করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ২টি নারিকেল গাছ এর চারা রোপন করেন।
মন্তব্য করুন