কোটি টাকার সম্পদ জবর দখ*লের অভি*যোগে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

April 20, 2025,

স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার  আখাইকুড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে কোটি টাকার সম্পদ জবর দখলের অভিযোগে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভুগির পক্ষে আবু সাহিদ ভুট্টু।

শনিবার ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় দুর্গাপুর (জগতপুর) গ্রামের স্থায়ী বাসীন্দা আমার পূর্বপুরুষ হিসেবে জানান। আমার আপন চাচাত ভাই প্রবাসী আব্দুল গণি গং দীর্ঘদিন যাবত ইউরোপ প্রবাসে বসবাস করছেন। ফলে তাদের সমস্ত বিষয় সম্পত্তি আবু সাহিদ ভুট্টু দেখাশুনা করে আসছি

বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে দেশে স্বৈরাচার বদলের পর থেকে থানা কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে আব্দুল গণি গং-এর নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আমি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিদেশে বসবাসরত আমার চাচাত ভাই আব্দুল গণি সহ অন্যান্যদের বিষয়টি অবহিত করি। তারা আমাকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করার পরামর্শ দেন। আমি তাদের নির্দেশমত মৌলভীবাজার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে তৎকালীন ওসি মহোদয়কে বিষয়টি জানাই। পরবর্তীতে কয়েছ মিয়া ও তার সহযোগীরা আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিলে আমি ভয়ে নিরব হয়ে যাই। ইতোমধ্যে তারা নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে জবর দখল ও অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে থাকে।

গত ১৩ এপ্রিল কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার সহযোগী পারভেজ মিয়া, জুবেদ মিয়া, আবেদ মিয়া মিলে সকাল অনুমান ১০ ঘটিকায় নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে একসেব্রেটার (মাটি কাটার মেশিন) ও শ্রমিক এবং একদল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে অবস্থান নেন। তিনি তাৎক্ষনিক সেখানে উপস্থিত হয়ে বাঁধা দেন ও চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করলে তারা তাকে মারপিঠ শুরু করে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করেন।

জনতার উপস্থিতি বেড়ে গেলে তারা ফিরে চলে যান। পরে তিনি শহরে এসে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি ‘অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে একই তারিখ দিবাগত রাতে আবারও তারা জবর দখলের উদ্দেশ্যে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে হানা দেয়। তখন আবু সাহিদ ভুট্টু রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতোমধ্যে তারা নানাভাবে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমির গাছ কর্তন, মাটি কাটা আংশিকভাবে শুরু করে দেয়। তাদের এসব বে-আইনী কর্মকান্ড তিনি দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গত ১৬ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত (মৌলভীবাজার সদর) বরাবর ১৪৪ পিটিশন মামলা দাখিল করেন।

পরবর্তীতে কৃষকদল নেতা কয়েছ মিয়া ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গরু জবাই করে ভুরিভোজ করে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমির ছোট-বড় প্রায় ২০০ শত গাছ কর্তন করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যায় এবং পুরো বাড়ী কেটে গভীর গর্ত করে ক্ষয়-ক্ষতিসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ তাদের দখলে নিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন তারা প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে দিন-দুপুরে হন্য হয়ে খোঁজে বেড়াচ্ছে। প্রাণভয়ে ঘর-বাড়ী ছেড়ে ছেলে সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তা ও প্রবাসীর সম্পদ জবর-দখল থেকে পুনরুদ্ধারের দাবী জানান।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com