জুড়ীতে জেলা ছাত্রদল নেতার বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশি : ছাত্রদলের নিন্দা
আব্দুর রব॥ জুড়ীতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আজহার আহমদ ওয়াসিমের বাড়িতে ২২ মে সোমবার তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েও তাকে পায়নি। ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আছাদ উদ্দিন বটলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গাড়ি পুড়ানো, আ’লীগের সভায় হামলা-ভাংচুর, পুলিশের উপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এর একটি মামলায় জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
থানা পুলিশ ও দলিয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আজহার আহমদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জলের কারামুক্তি উপলক্ষ্যে শহরে ছাত্রদলের বের হওয়া স্বাগত মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এর জের ধরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায়ও তাকে আসামী করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালে জুড়ীতে বিএনপির ডাকা হরতাল কর্মসুচিতে পিকেটাররা মালবাহী ট্রাকে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে রুজু মামলায় পুলিশ তাকে ৩ নম্বর আসামী করে। ২০১৬ সালে কুলাউড়া আ’লীগের দলীয় কর্মসুচিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হামলা-ভাংচুর চালায়। এঘটনায় দায়েরকৃত মামলায়ও এজাহারভুক্ত আসামী ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমকে জুড়ী পুলিশ বছরের ৩ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। ১৪ মার্চ তিনি জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রদল নেতা আজহার আহমদ ওয়াসিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ভাই সোহেল আহমদ জানান, জুড়ী থানার একদল পুলিশ ওয়াসিমকে খুজতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলার পলাতক আসামী আজহার আহমদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করতে সোমবার এসআই মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বড়ধামাই গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ তাকে পায়নি। গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আজহার আহমদ ওয়াসিমের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান।
মন্তব্য করুন