জুড়ীতে সাপ পাচারকারী সক্রিয়-অজগর সাপ উদ্ধার
কুলাউড়া অফিস॥ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষধর সাপ ও সাপের বিষ পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে। জানা যায়, বুধবার সকাল ১১ টায় খাদ্যের সন্ধ্যানে পাহাড়ি এলাকা থেকে একটি বিশাল অজগর সাপ লোকালয়ে নেমে আসে। সাপটি দ্বহপাড়া গ্রামে একটি পারিবারিক হাসের খামারের জালে পেঁচিয়ে আটকা পরে। সাপটি আটকা পরলে গ্রামের উৎসুক জনতা সাপটিকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে জুড়ীর এক সাপুড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ওই সাপুড়ে সাপটিকে জুড়ীতে নিয়ে আসে। এদিকে পরদিন বৃহস্পতিবার অজগর আটকের বিষয়টি বন বিভাগের লোকজন জানতে পেরে জুড়ী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাপুড়ে বস্তিতে অভিযান চালিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
২৯ অক্টোবর শনিবার রেলওয়ে বস্তির একজন সাপুড়ে একটি অজগর সাপ পাচারের প্রস্তুতি কালে সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমন্ত রায় চৌধুরীসহ ৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে বন বিভাগের লোকজন ওই তিন মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে এসে ওই সাপুড়ের ঘর থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে লাঠিটিলা বন এলাকায় অবমুক্ত করেন। এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমন্ত রায় চৌধুরী বলেন, সাপুড়ে খলিল মিয়ার ঘর থেকে জুড়ী রেঞ্জ সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল রায় একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেন।
ওই সাপুড়ে খলিল মিয়া দীর্ঘ দিন থেকে অজগর সাপ এবং বিষধর সাপ ও সাপের বিষ পাচারে জড়িত। তার বিরোদ্ধে আমি মামলা করতে চাইলে রেঞ্জ কর্মকর্তা তা আমলে নেয়নি। তিনি আরও জানান, সাপুড়ে খলিল মিয়া মুক্তিযোদ্ধা বসির মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করে জুড়ী রেঞ্জ সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল রায় বলেন, মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমন্ত রায় চৌধুরীর অভিযোগ পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন বস্তির সাপুড়ে খলিল মিয়ার ঘরের পাশে বাক্সে রক্ষিত একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেন। পরে সাপটি স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লাটিটিলা বন এলাকায় অবমুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন