জুড়ীর কুচাই চা-বাগানে যাত্রাপালার আসর
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2016/11/DSCN6024.gif?fit=800%2C445)
জুড়ী প্রতিনিধি॥ এক সময় পাড়া-মহল্লায় আয়োজন করা হতো গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার। যাত্রাপালা লোক সাহিত্যের একটি বিরাট অংশ নিয়ে বিরাজমান। বাংলার আদি সংস্কৃতি হচ্ছে যাত্রাপালা। গ্রামীণ বিনোদনে যাত্রাই ছিল সবচেয়ে বড় মাধ্যম। যাত্রা তো মিশে আছে আবহমান বাংলার লোকজ জীবনের সাথে।
যাত্রাপালা দেখার জন্য গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে যেত সব বয়সের মানুষেরা। গভীর রাতে আরম্ভ হয়ে ভোর রাত পর্যন্ত গ্রামের সবাই উপভোগ করত এই যাত্রা। অভিনয়-নাচ-গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হতো নানান লোক কাহিনী। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, অপসংস্কৃতি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জোয়ার ও আইনের বেড়াজালে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী যাত্রা শিল্প। এই পালা হচ্ছে আমাদের পূর্বপুরুষের একমাত্র বিনোদনের খোরাক। গ্রামবাংলায় এই শিল্পের যথেষ্ট কদর থাকলেও এ শিল্পকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসছে না। অর্থকষ্টে দিন যাচ্ছে এ পেশায় সম্পৃক্ত শিল্পী ও কলা-কুশলীদের।
অপসংস্কৃতি আর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কুচাই চা-বাগানে কালীপূজা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে যাত্রা উৎসব। কুচাই চা-বাগানের মান্ডপের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই যাত্রা উৎসব। প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ যাত্রা উপভোগ করেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলার বানী যাত্রাপালার অভিনেত্রী আকলিমা আক্তার লিপি বলেন, বাংলার আদি সংস্কৃতি হচ্ছে যাত্রাপালা। অপসংস্কৃতি আর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই সব যাত্রাপালার আয়োজন অনেক ভূমিকা পালন করবে। যাত্রার এই সমৃদ্ধিকে ধরে রাখার জন্য জুড়ীর এই আয়োজনকে অভিনন্দন জানাই। যাত্রার যে আবেদন সেই আবেদন জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন অব্যহত থাকবে বলে আমরা আশাকরি।
ৃও
মন্তব্য করুন