পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের : জুড়ী কাস্টমস অফিস থেকে চোরাই : গরুর নিলাম সরিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে

April 17, 2017,

আব্দুর রব॥ মৌলভীবাজারের জুড়ী কাস্টমস অফিস থেকে চোরাই গরুর নিলাম কার্যক্রম সরিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে।
৮ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আটক গরুর দাম নিলামে কমে যায় কয়েকগুন-জুড়ীর কাস্টমস অফিস লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আখড়া’ শিরোনামে দুর্নীতির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হলে কাস্টমসের বিভাগীয় (সিলেট) কার্যালয়ের টনক নড়ে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে বিজিবি ক্যাম্পেই চোরাই গরু নিলামের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল শনিবার বড়লেখার লাতু বিজিবি ক্যাম্পে ৪টি ও রোববার নয়াগ্রাম ক্যাম্পে ২টি চোরাই গরুর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতামুলক নিলামে সরকারের প্রায় লাখ টাকার রাজস্ব আয় সাধিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিজিবি’র আটক চোরাই গরু জুড়ী কাস্টমসে জমা দেয়ার পর নিলামে তা কমে যেত কয়েকগুন। কাস্টমস কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে উৎকোচের বিনিময়ে কম দামে নিলাম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছিলেন। গত মার্চে বিজিবি প্রায় ১৫ লাখ টাকার চোরাই গরু আটক করে জমা দিলেও আসাধু কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে তা মাত্র ৪ লাখ টাকায় নিলাম করেন। গত ৩ এপ্রিল প্রায় ২ লাখ টাকার ৬টি চোরাই গরু আটক করে জমা দিলে দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তারা নিলামকারী সিন্ডিকেটের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গরুগুলো নিলামে মাত্র ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রী করে সরকারে অর্ধলক্ষাধিক টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেন।
জুড়ী কাস্টমসের সহকারী রেভিনিউ কর্মকর্তা মো. হাফেজ উদ্দিন মন্ডল জানান, চোরাই গরুর নিলামে অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলে কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিজিবি’র চোরাই গরু উদ্ধারকারী ক্যাম্পেই নিলাম কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত শনিবার লাতু ক্যাম্পে প্রথম এবং রোববার নয়াগ্রাম ক্যাম্পে চোরাই গরুর দ্বিতীয় নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com