বড়লেখায় ঘুসের টাকা ফেরত দিলেন  এসআই ফখরুজ্জামান

February 1, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার॥  বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলার আসামির কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা ঘুস নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে সিএসআই ফখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানায় ওই আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় থানা পুলিশ। ১০ দিন জেল খেটে সোমবার ২৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে বের হন।
বুধবার আদালতে গিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে তাকে কেন জেল খাটালেন জানতে চাইলে সিএসআই ফখরুজ্জামান দুঃখ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নেওয়া ঘুসের টাকা ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের টুকা গ্রামের নুরুল ইসলামের কাছ থেকে একই গ্রামের প্রবাসী রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিন চুক্তিপত্র ও চেক প্রদান করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম গত বছরের ১৬ আগস্ট প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট জামিন নিয়েই তিনি বাদী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২৫ সেপ্টেম্বর সাজানো ঘটনায় আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সিএসআই ফখরুজ্জামানকে নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আমার মামলায় জামিন নেওয়ার পর আসামি আবিদা সুলতানা শারমিনকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরে প্ররোচনা দেন সিএসআই ফখরুজ্জামান। সঠিক প্রতিবেদন দেবেন বলে তিনি আমার কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নেন। পরে বাদী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন জমা দেন। তার মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ১০ দিন জেল খেটে সোমবার জামিনে বেরিয়ে আসি।

বুধবার ৩১ জানুয়ারি দুপুরে গিয়ে জানতে চাইলে সিএসআই ফখরুজ্জামান বলেন, আপস-মীমাংসায় বাধ্য করতে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে ঘুসের টাকা ফেরত দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই ফখরুজ্জামান জানান, বিষয়টি তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে নিষ্পত্তি করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com