বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুরে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার॥ বড়লেখা উপজেলায় নিয়োগবিধির শর্ত ভঙ্গ করে একজন স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পাওয়া মাছুমা আক্তার ছামিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগবঞ্চিতরা।
তাদের অভিযোগ, ছামিয়া উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অথচ তিনি প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিক সনদপত্রে নিজেকে ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উল্লেখ করেছেন। যার কারণে তারা যোগ্য প্রার্থী হয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এব্যাপারে নিয়োগবঞ্চিত মো. ছাইদুল ইসলাম, শ্রীকান্ত পাল ও টিটুল বিশ্বাস সম্প্রতি জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। গত ৭ জুন লিখিত পরীক্ষা এবং ১১ জুন মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ জুন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। এতে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী (শূন্য) পদে মাছুমা আক্তার ছামিয়া নামে একজন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি।
নিয়োগবঞ্চিত মো. ছাইদুল ইসলাম, শ্রীকান্ত পাল ও টিটুল বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্য সহকারী পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত মাছুমা আক্তার ছামিয়া উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা নন। তিনি একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কিন্তু নাগরিক সনদে নিজেকে সাবেক ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে তিনি রীতিমতো প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান।
মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দীন মুর্শেদ জানান, স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এখনো নিয়োগ চূড়ান্ত হয়নি। শর্তাবলী লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
মন্তব্য করুন