বন্যা পরিস্থিতির অবনতি বড়লেখায় অর্ধলক্ষ পানিবন্দী মানুষের মানবেতর জীবন যাপন : জোটেনি কোন ত্রাণ
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দুইদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও উজানের নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ১০ দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করলেও ২৬ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে হত দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রান বিতরণের কোন খবর পাওয়া যায়িিন।
সরেজমিনে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রফিনগর, ভোলারকান্দি, পাটনা, দশঘরি, উত্তর বাঘমারা, রাঙ্গিনগর, বাড্ডা, বাঘেরকোনা,তেরাকুড়ি গ্রাম এবং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের কামিলপুর, রাঙাউটি, শেখপাড়া, পেনাগুল গ্রাম ঘুরে প্রায় প্রতিটি বাড়িঘরে বন্যার পানিতে ২-৪ ফুট তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। সুজানগরের দশঘরি গ্রামের ফরিদ উদ্দিন জানান, এপ্রিল মাসের ঘূর্ণিঝড়ে তার ঘর ভেঙ্গে পড়ে। শিলায় টিন ঝাজরা হয়ে যায়। এসময় গ্রামের প্রতিটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর এ মাসের বন্যায় হাজার হাজার মানুষের বসত বাড়ি তলিয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহালেও এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া উপজেলার বর্নি, দাসেরবাজার, তালিমপুর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুলাউড়া-বড়লেখা সিএন্ডবি সড়কের তিন স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী, বর্নি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জানান তাদের ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারী সাহায্যের জন্য তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করছেন।
মন্তব্য করুন