“বালিকান্দি ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” সংক্রান্ত প্রতিবাদ
আমি মোঃ অলিউর রহমান, পিতা-মরহুম হাজী আব্দুল কবির, স্থায়ী ঠিকানা মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বালিকান্দি গ্রামে। আমি ব্যবসার কারণে শহরে বসবাস করলে পৈত্রিক নিবাস বালিকান্দি বিধায় ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য। সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ পত্রিকায় গত ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ প্রকাশিত সংখ্যায় ৮ নং পৃষ্টায় “বালিকান্দি ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদের ভেতরে যে সমস্ত তথ্য দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট। সংবাদ প্রকাশের আগে আমার বক্তব্য নেয়া উচিত ছিল।
সকলের জ্ঞাথার্তে জানাচ্ছি যে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ই,সি,নং-১৮৯০৯, (বালিকান্দি জামে মসজিদ ওয়াকফ এষ্টেট), কর্তৃক ও:প্র/মৌল/১৩২ স্মারক যুক্ত পত্র মূলে বিগত ০২/১১/২০১৫ তারিখে অনুমোদন প্রদান করা হয়। ওয়াকফ এষ্টেট কর্তৃক ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন প্রদান করার পর বালিকান্দি জামে মসজিদ এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সততা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কমিটি সহ সর্বস্তরের এলাকাবাসীর সম্মতিক্রমে পুরাতন ও জরাজীর্ণ মসজিদ ঘরটি ভেঙ্গে মসজিদটি পুর্ণ:নির্মাণে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে স্বেচ্ছায় প্রণোদিত স্থানীয় ও প্রবাসী ব্যক্তিবর্গের দান ও অনুদানের মাধ্যমে উক্ত মসজিদটি পূর্ণ:নির্মাণ অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
কাজ চলাকলি সময়ে জনৈক সৈয়দ জহির বাদী হইয়া বালিকান্দি জামে মসজিদ কমিটির সকল সদস্যগণের বিরোদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক বিবরনে মাননীয় সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১২/২০১৭ ইং নং মোকদ্দমা দায়ের করিয়া ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ এর পূর্ণ: নির্মাণ কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। উক্ত মোকদ্দমা হইতে উদ্ভত ১৩/২০১৭ ইং নং সিভিলণ রিভিশন মোকদ্দমা মাননীয় জেলা জজ আদালতে পরিচালিত হইয়া আসিতে থাকে। অপর দিকে বালিকান্দি জামে মসজিদ যাহাতে পূর্ণ: নির্মান না হয় তদ বিরুদ্ধে ব্যাঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সৈয়দ আব্দুর রহমান কিবরিয়া গং বাদী হইয়া পূনরায় মাননীয় সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মৌলভীবাজার এ স্বত্ব ৯৭/২০১৭ইং নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত ৯৭/২০১৭ ইং নং মোকদ্দমা গত ১৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে খারিজ হয়। বালিকান্দি গ্রামের ৯৫% ধর্মগ্রাণ মুসল্লিয়ানগণ সম্মিলিত ভাবে বালিকান্দি জামে মসজিদ পূর্ণ:নির্মানের পক্ষে থাকায় নিযুক্তিয় বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে উক্ত মোকদ্দমা সমূহে বর্ণনা পত্র দাখিল করিয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করিয়া আসিতে থাকেন। বর্ণিত মোকদ্দমার বাদীগণ বার বার চেষ্টা করা স্বত্বেও ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করিতে পারেন নাই। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় নান্দনিক মসজিদ ঘরটি গত ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার মৌলভীবাজার, রাজনগর ৩ এর মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব নেছার আহমদ এবং সংরক্সিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে নব নির্মিত ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ এর উদ্বোধন করিয়া অদ্যাবধি অত্যন্তÍ শুনামের সহিত মসজিদ পরিচালনা কমিটি ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ এর বাৎসরিক আয় ব্যায়ের হিসাব সর্বশেষ ২৫ আগষ্ট ২০২০ তারিখে ওয়াকফ প্রশাসকের নিকট চাঁদা পরিশোধ সহ সমুদয় হিসাব প্রদান করিয়া বর্তমান কমিটি মসজিদ পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন।
এমতাবস্থায় অসৎ উদ্দ্যেশে আমার নামে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যে বালিকান্দি জামে মসজিদ নির্মান কালীন সময়ে যুক্তিরাজ্যে রশিদ বই ছাপিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বালিকান্দি জামে মসজিদ পূর্ণ:নির্মান করা কালীন সময়ে কোন ধরনের চাঁদা আদায় সংক্রান্ত রশিদ বই যুক্তরাজ্যে ছাপানো হয় নাই। রশিদ বই ছাপিয়ে লন্ডনে বালিকান্দি জামে মসজিদ নির্মান এর জন্য কোটি কোটি টাকা আদায় করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট বটে। আমার সহিত কোন ধরনের যোগাযোগ না করিয়া কিংবা সঠিক তথ্য না নিয়ে বিগত ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে পাতাকুঁড়ির দেশ, পত্রিকার মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট সংবাদ “বালিকান্দি ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন