কুলাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

September 5, 2024,

মাহফুজ শাকিল : কুলাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরী। এসময় বয়স গোপন রেখে বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় মেয়ের মা বাল্যবিয়ে দিবে না বলে মুছলেকা দেন।

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৌমিত্র কর্মকারের সহযোগিতায় কনে পক্ষের কাছ থেকে ওই মুছলেকা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের বাসিন্দা অলিছ মিয়া ও সালেহা বেগম দম্পতির কন্যা সুনিয়া আক্তার সুমা (১৪) সাথে একই গ্রামের ছাদিক আলীর ছেলে আলি হোসেন (২১) সাথে বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে গোপনে বিয়ের আয়োজন চলে। রাতে কনে সুমাকে বর আলি হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিনের নির্দেশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৌমিত্র কর্মকার তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী নারায়নকে বুধবার ওই এলাকায় পাঠান। সেখানে গিয়ে তিনি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানালে বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে বর আলী হোসেনের বাড়ি থেকে কনে সুমাকে উদ্ধার করে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান আলীর উপস্থিতিতে মেয়ের মা সালেহা বেগম বাল্যবিয়ে দিবে না মর্মে একটি মুছলেকা দেন। পরে মুছলেকা নিয়ে গোপনে বা প্রকাশ্যে কোথাও মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেয়া হলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মেয়ের মাকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে। এর আগেও কুলাউড়ায় বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com