বড়লেখার এবাদতের টার্গেট বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ দুই বছর আগেও তার পরিচয় ছিল ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে। সেটাও নির্দিষ্ট একটা গন্ডিতে। রবি ফাস্ট বোলার হান্ট দিয়ে নিজেকে তোলে ধরেন ক্রিকেটার হিসেবে। গতির ঝড় তুলে ফাস্ট বোলার হান্টের সেরা এবাদত হোসেন চৌধুরী। এরপর ১৪ জনের ক্যা¤প পেরিয়ে নিজের গন্ডিটা আরো বাড়িয়ে নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। জায়গা করে নিয়েছেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) ক্যাম্পে। এমন জায়গায় সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিমানবাহিনী ভলিবল দলের সাবেক এই খেলোয়াড়।
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের তরুণ এবাদত হোসেন চৌধুরী। আগে পাড়ার মাঠে মাঝে মধ্যে ক্রিকেট খেলেছেন। ভলিবল খেলার সূত্রেই বিমান বাহিনীর চাকরি পেয়েছেন এবাদত। তবে ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেটটাও বেশ ভালো খেলতেন। ভীষণ জোরে বোলিং করতে পারতেন বলে নিজ উপজেলা বড়লেখা তো বটেই, আশপাশের অঞ্চল থেকেও খেলার ডাক আসতো। বিমান বাহিনীতে যোগ দেয়ার পর ক্রিকেট খেলার সুযোগ কমে যায়। বিভিন্ন গেমস থাকলেও সেখানে ক্রিকেটের চর্চা হয় না। তাই বলে বিমান বাহিনী তার ক্রিকেট খেলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বিভিন্ন ছুটিছাটা দিয়ে তাকে সুযোগ করে দেয়ায় ২০১৪ সালে সিটি ক্লাবের হয়ে ঢাকায় প্রথম বিভাগে খেলেন। এরপর ২০১৬ সালে এসে রবি ফাস্ট বোলার হান্টের প্রক্রিয়া পেরিয়ে এইচপিতে জায়গা করে নেন এবাদত।
১৭ জুলাই রোববার থেকে শুরু হওয়া এইচপি ক্যাম্পে নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি জাতীয় দলের দিকেও দৃষ্টি দিচ্ছেন রবি ফাস্ট বোলার হান্টের ফাইনাল রাউন্ডে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করা এবাদত। জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাবেন এই ক্যা¤প থেকেই।
২১ জুলাই বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে কথা হয় এবাদত হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আমার প্রথম টার্গেট জাতীয় দল পর্যন্ত খেলা। দ্বিতীয়ত এটা একটা সুযোগ প্রমাণ করার যে আমি একজন ভালো বোলার বা ভালো খেলোয়াড়।’ এইচপি থেকে নিজেকে আরো গুছিয়ে নিতে চান। বিপিএল বা বিসিএলের মতো ঘরোয়া লিগেও আলো কাড়তে চান এবাদত। তবে শেষ কথা জাতীয় দল, ‘এখন ভালো কিছু শিখতে চাই যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। পরবর্তী টার্গেট বলতে সামনে তো বিপিএল, বিসিএল, এনসিএল আছে। এখানে সুযোগ পেলে আর ভালো করতে পারলে আমার জন্য ভালো হবে। তারপর জাতীয় দলে যদি ডাক পাই ইনশা আলাহ।’
এইচপিতে যে নাম আসতে পারে সেটা আগে থেকেই জানতেন এবাদত। এ বিষয়ে বলছেন, ‘পেসার হান্ট শেষে বিসিবির ১৪ জনের একটা ক্যাম্পে আসি। সারোয়ার ইমরান স্যার বলেছিলেন এখানে যদি ভালো করতে পারি এইচপিতে নাম আসতে পারে। সাদ্দাম ভাই তো প্রিমিয়ার লিগে খেলে এখানে এসেছে। আর ইমরান স্যার আমাকে বিশেষভাবে এখানে রেখেছেন।’
সব মিলিয়ে পিছু ফিরে আর দেখতে চান না বড়লেখার এই ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার। গতির সাথে কৌশল মিশিয়ে হয়ে উঠতে চান বৈচিত্রময় বোলার। তবে সেটার যে জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে তা ভালো করেই জানা আছে তার। এ জন্যই সামনের সময়টা শুধু পরিশ্রম করেই কাটাতে চান এবাদত। লাল সবুজ পোশাক গায়ে জড়িয়ে করতে চান বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব।
মন্তব্য করুন