মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে সাংবাদিকদের ২০১৬ সালের ফটোকপি কার্ড বিতরণ

সাইফুল্লাহ হাসান॥ ২০ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের যে পর্যবেক্ষণের কার্ড দেয়া দেয়া হয়েছে সেটি ২০১৬ সালের। তাও আবার ফটোকপি করে সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জেলার সাংবাদিক মহলে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কার্ড এর ছবি দিয়ে পোস্ট করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সবাই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতদের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নির্বাচন অফিস থেকে গতকাল রাতে পর্যবেক্ষণ কার্ড পাওয়ার পর পরই অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি রিপন দে ফেসবুকে কার্ডের ছবি দিয়ে পোস্ট করে লিখেন, ২০ তারিখের জেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ২০১৬ সালের একটা কার্ডকে ফটোকপি করে দেওয়া হয়েছে মৌলভীবাজারের সাংবাদিকদের। এটা কেনো? নির্বাচনের বাজেট নাই? নাকি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অবহেলা? তিনি পাঠকদের কাছে প্রশ্ন তুলেন, আপনার কি মনে হয় এই কার্ডের নামে কোন বিল তারা করবেনা? এই ফটোকপির বিল লাখ বা কোটি হলেও অবাক হবোনা।
বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট করেন, ২০১৬ সালের কার্ড এখন ২০২০ সাল। এইবার কার্ড দিলেন নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। তবে না দিলে হতো।
আরও কয়েকজন সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, নির্বাচনের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়। সোমবার রাতে জেলার সবকটি উপজেলার সাংবাদিকদের সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ কার্ড ইস্যু করা হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ কার্ড হাতে পেয়ে আমরা হতবাক হই। কার্ডের ওপরে জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ লেখা অথচ নির্বাচন হচ্ছে ২০২০ সালে। এছাড়া উপ-নির্বাচন লেখা হয়নি। এছাড়াও কার্ডটি ফটোকপি করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের বলেন, আমাদেরকে পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশন থেকে কোনো কর্ড দেয়া হয় নাই। সে জন্য ২০১৬ সালের কার্ড দিয়ে দেয়া হয়েছে। ফটোকপির বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্র ১০টি কার্ড ছিলো। তবে ১০ টি কার্ড ২০২০ সালের ছিল কি না তা পরিস্কার ভাবে বলেননি। ফটোকপি করে সবাইকে দেয়া হয়েছে কোনো সমস্যা হবে না, কার্ডে আমার সাক্ষর রয়েছে।
মন্তব্য করুন