মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসের খরগোশ নিয়ে শিশুদের বিনোদন

সংবাদদাতা॥ মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে রাখা দুটি খরগোশের বাঁচ্চা পাসপোর্ট অফিসের সুন্দরতা বৃদ্ধি করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাসপোর্ট গ্রাহকের ফরম জমা দেওয়ার পর অপেক্ষার সময় কাটানোর জন্য ওয়েটিং রুমে রাখা হয়েছে টিভি। কিন্তু কেউ টিভি দেখে আবার কেউ বা চা স্টলে বসে গল্প করে অপেক্ষার সময় পার করেন। অনেক মহিলার সাথে বাঁচ্চা থাকায় বেশি সময় ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে পারেন না শিশুদের চঞ্চলতায়। এইসব শিশুরা খরগোশের বাঁচ্চা দেখে খুঁশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে। খরগোশের বাঁচ্চারা কৌতুহল চাওনিতে ছোট ছোট মাঁয়াবী চোখে যখন মুখ তুলে থাকায় শিশুরা তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। ছোট ছোট পাঁয়ে এগিয়ে যায় খরগোশ নিয়ে খেলা করতে। খরগোশের বাঁচ্চারাও ভয় পায়না। কচি ঘাস চিবাতে চিবাতে মাঁয়াবী চোখে থাকিয়ে থাকে। এভাবে বন্যপ্রাণী আর শিশুদের মধ্যে জমে উঠে খেলা, বড়রাও দৃশ্যটি উপভোগ করে। নতুন অফিসের সামনে দৃষ্টি নন্দন ফুলের ছাড়া আর চোখ জোড়ানো দুটি খরগোশের বাঁচ্চা দেখে কার না ভালো লাগে। প্রকৃতির রূপে মাঁয়াবী এক নজরে দেখলে অবাক হতে হয় সবাইকে। কেমন করে দুটি বাঁচ্চা নিজেদের আহার জোগার করছে ছোট ছোট মুখ দিয়ে। গাছের পাতা ছিঁড়ে খাচ্ছে আর ঐদিক থেকে ঐদিকে ছুটে চলছে অবিরত। পাসপোর্ট করতে আসা অনেকেই বলছেন আসলে এত দিনে মূল্যবান কিছু রাখা হয়েছে পাসপোর্ট অফিসে। বিনোদনের জন্য ওই দুটি খরগোশের বাঁচ্চা সবার নজরে আসে। প্রথম গেইটের পাশেই রাখা হয়েছে খরগোশের বাঁচ্চা তাই সেবা নিতে আসা সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান এমন নীরব পরিবেশের মধ্যে খরগোশের বাঁচ্চা দেখে। সচরাচর সবার বাড়িতে খরগোশ না থাকায় কেউ কেউ ছুঁয়ে দেখছেন আবার কেউ বা সেলফি তুলে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন