রাজনগরে জুম মিটিংয়ে মিছরাফকে হত্যার সিদ্ধান্ত, অভিযোগ স্বজনদের
শংকর দুলাল দেব : রাজনগরে খুনের স্বীকার মিছরাফ খানকে হত্যার জন্য হত্যাকারীর দেশী-বিদেশী স্বজনরা জুম মিটিং করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসার জন্য হত্যার আগের দিন সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ওইদিন রাতেই হত্যাকারীদের স্বজনরা ‘জুম মিটিং’ করে এ পরিকল্পনা করেন। এছাড়াও হত্যাকারীরা রাতের আধারে গরু-ছাগল সহ নিজেরাই নিজেদের মালামাল সরিয়ে লুটপাটের মামলা দেয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে নেয়ার সময় স্থানীয় লোকজন এসব আটক করে রাজনগর থানায় সোপর্দ করলে থানায় মুছলেকা দিয়ে আটককৃতরা ছাড়া পান বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ইউপি সদস্য নূরুল আমিন খান।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুনাটিকি গ্রামের সৈয়দ গুষ্টির লোকজনের কাছ থেকে খান গুষ্টির লোজকন বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু জমি ক্রয় করেন। কিছু জমি রেজিস্ট্রি করা হলেও অনেক জমি এখনো দলিল করা হয়নি। খানগুষ্টির ক্রয়করা জমি দখলে নিতে মরিয় সৈয়দ গুষ্টির লোকজন। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধ চলছিল। বিগত অক্টোবর মাসে সালিশ বৈঠক হলে মিমাংসা হওয়ার পর্যায়ে চলে আসে। এজন্য ১০ জনের একটি সালিশি বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ড গত ৫ ডিসেম্বর পরবর্তী বৈঠকের তারিখ ধার্য করে। বৈঠকের আগের আগেরদিন সৈয়দ গুষ্টির আত্মীয় সৈয়দ আজাদ আলী আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলে সালিশ বৈঠক বাতিল হয়। তার ইন্দনে ওই দিন রাতে তাদের দেশি ও প্রবাসী আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ‘জুম মিটিং’ করে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার খানগুষ্টির ক্রয়কৃত জমির ডোবায় সৈয়দ জুয়েল আলীর নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামীরা মাছ ধরতে যান। মাছধরার খবর পেয়ে মামলার বাদী নূরুল আমিন খান, মিছরাফ খান সহ অন্যন্যরা বাধা দেন। এ সময় তাদের উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। সৈয়দ আজাদ আলীর নির্দেশে সৈয়দ জুয়েল আলী মিছরাফ খানকে পেটে আঘাত করে বলে অভিযোগ বাদী পক্ষের। সাথে সাথে মিছরাফ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তৎক্ষনাৎ তাকে সিলেট ওসমানী মেডকিলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মামলার বাদী নূরুল আমীন খান বলেন, সৈয়দগুষ্টির লোকজন তাদের মালামাল ও গরু-ছাগল সরিয়ে নিয়ে আমাদের উপর লুটপাটের মামলা করার পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের কাজী সৈয়দ লুৎফুর আলী বলেন, আমি হত্যার বিপক্ষে রয়েছি। আমি এর নিন্দা জানাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শহরে বাসায় থাকি মাঝে মধ্যে এলাকায় যাই। আমি এর সাথে কখনই জড়িত নই।
মন্তব্য করুন