শ্রীমঙ্গল আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লার ভাগার সরানো বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে পুর্ব নিধারিত সভা ভেস্তে গেছে
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লার ভাগার সরানো বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে পুর্ব নিধারিত সভা ভেস্তে গেছে। সভায় পুর্ব নির্ধারিত সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উপস্থিত হলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ ও সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এম.পি ও শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় উপস্থিত না হওয়ায় সভাটি হয়নি।
৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল পৌর সভায় মেয়র কার্যালয়ে ওই সভাটি হওয়ার কথা ছিল। সভায় উপস্থিত হওয়া এলাকাবাসীর পক্ষে ভুক্তভোগী মো: জাহেদুর রহমান জানান, তিনিসহ এলাকাবাসী কিছুদিন আগে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লার ভাগার সরানো বিষয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এম.পি মহোদয়ের সাথে দেখা করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ বিষয়ে তাদের সামনেই মোবাইল ফোনে পৌর মেয়রের সাথে কথা বলেন এবং দুই পক্ষকে নিয়ে মেয়রের কার্যালয়ে একটি সভা ডাকার আহবান জানান। এবং ওই আলাপেই ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় সময় এবং তারিখ নির্ধারিত হয়। ওই এলাকাবাসীর পক্ষে ১০ এবং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ের পক্ষে ১০ উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এব্যাপারে পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু জানান, তিনি সভার আযোজন করেছিলেন। এমপি সাহেবের অন্য প্রোগ্রাম থাকার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সময়মতো এসেছিলেন। এলাকাবাসী যাওয়ার পর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ও এসে দেখা করে যান।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় জানান, সভায় জেলা প্রশাসক থাকার কথা ছিল, তিনি আসতে পারেননি। তাই মিটিং করে কোন লাভ হতো না। আর এমপি সাহেব অন্য একটি মিটিং-এ থাকায় সময়মতো সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি আরো জানান, দেরিতে হলেও এমপি সাহেব মেয়রের সাথে যখন ফোনে যোগাযোগ করেন এর পুর্বেই এলাকাবাসী চলে যান। তবে চেয়ারম্যান আরো জানান, তিনি আগের অবস্থান সরে এসেছেন, হাইকোটে যে মামলা আছে, তা শুনানি করে একটি রায় নিয়ে আসলেই হবে, এতে পক্ষেই হোক বা পক্ষেই হোক।
মন্তব্য করুন