হয়রানি-প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ বড়লেখার জনৈক ব্যক্তি ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আগর-আতর ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
আব্দুর রব॥ বড়লেখার জনৈক তাজ উদ্দিন শেখ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুজানগর আগর-আতর ব্যবসায়ী শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম বক্ত মুসা। সুজানগর ইউনিয়নের বরথল গ্রামের তাজ উদ্দিন শেখ গংয়ের বিরুদ্ধে তিনি এসব তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার ১৩ জুন বেলা দুইটায় আজিমগঞ্জবাজারে সামাজিক সংগঠন গোল্ডেন ক্লাবের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল কাদির, আব্দুর রাজ্জাক, প্রবাসী সামছুল ইসলাম, কাওছার আহমদ, সাবেক ইউপি মেম্বার গোলাপ আলী, তুতিউর রহমান, সারুফ আহমদ, রফিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, মাসুদ আহমদ, হাসান আহমদ, জুনেদ আহমদ, জাহাঙ্গীর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রহিম বক্ত মুসা বলেন, আমার বিভিন্ন সেবা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রতি ঈর্ষান্বীত হয়ে উঠেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সালিশ বৈঠকে এলাকার চিহ্নিত প্রতারক ও সন্ত্রাসী তাজ উদ্দিন শেখের সীমাহীন অপকর্মের ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। যার কারণে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তার সঙ্গীয় খারাপ লোকজনকে দিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরে, আক্রমণের পাঁয়তারা করেছে। এমনকি আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে। এসব বিষয়ে আমি তাজের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় পৃথক জিডি করেছি। তাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হওয়া সালিশ বৈঠকে তাকে দোষী সাব্যস্থ করা হয়। তার বিরুদ্ধে বড়লেখা থানা এবং আদালতে একাধিক মামলা আছে। প্রত্যেকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশীট হয়। কিন্তু সে তার সঙ্গীয় প্রতারক চক্রের সহযোগীতায় এসব মামলার বাদী-স্বাক্ষীগনকে প্রাণ নাশের হুমকি এবং ভাড়াটিয়া প্রতারক লোককে দিয়ে মিথ্যে মামলা সৃষ্টি করে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেয়। অনেকে মামলা দিয়ে হয়রানীর ভয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ভয় পান। আমার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য ইউরোপ-আমেরিকায় বসবাস করেন। সে আমার পরিবারের সদস্যদেরকেও ইন্টারনেট নাম্বারে বিভিন্ন অশালীন গালি-গালাজসহ দেশে আসলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে আমার ভাই-বোনরা বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছেন। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য লোকজন এবং জনপ্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে। আমার বসতবাড়ী সংলগ্ন আগর-আতর ফ্যাক্টরী, গরু এবং মুরগীর বিশাল খামার ছিল। বিভিন্ন জেলার লোকজন কাজ করতো। সে অপরিচিত সন্ত্রাসী নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গভীর রাতে দেয়াল টপকিয়ে প্রবেশ করে কর্মচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়েছে এবং তাদের মারধর করছে। খামারের ঘাসে বিষক্রিয়া জাতীয় পদার্থ ফেলে দেয়ায় তা খেয়ে মোরুগ ও গরু মারা গেছে। বাাইরের কর্মচারী হওয়ায় কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এতে আমার গড়ে তোলা কোটি টাকা মূল্যের খামার ধ্বংস হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে তাজ উদ্দিন শেখ বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মুসার তোলা অভিযোগুলোর একটিও সত্য নয়। তিনি কেন, আমি কোনোদিন অন্য কারও ক্ষতি করিনি। বরং তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। মুসার আপন ছোটভাই মনোয়ার বক্স মিঠু আমাকে তার ব্যবসা ও সম্পদ দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। এসব কারণে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ। যার কারণে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও অসত্য অভিযোগ করছেন। উনার বিরুদ্ধে প্রতারণার অনেক অভিযোগ আছে। তিনি জেলও খেটেছেন। অনেক ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে।
মন্তব্য করুন