হাকালুকিকে জাতীয় হাওর ও দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবীতে সমাবেশ

আবদুর রব॥ হাকালুকি হাওরকে জাতীয় হাওর ও দুর্গত এলাকা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবীতে ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে হাওরপারের বড়লেখা উপজেলা জাতীয় কৃষক পার্টি ও জাতীয় মৎস্যজীবি পার্টি সুজানগর ও তালিমপুর ইউপির সংযোগস্থল দশনা ব্রিজ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও মৎস্যজীবিদের নিয়ে সমাবেশ করেছে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ রিয়াজ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছর আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে হাকালুকির বোরো ধানের কিছু ক্ষতি হলেও এবার ব্যতিক্রম। গত তিন দশকের রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার ৯৫ কোটি টাকার ধান পচে ২০ হাজার কৃষকের সর্বস্ব হারিয়ে গেছে।
জেলে ও কৃষকের বুক ফাটা আর্তনাদে হাওরাঞ্চলের বাতাস ভারি। তাই অবিলম্বে হাকালুকি হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হোক। ২৮ হাজার হেক্টর আয়তনের এ হাওর দেশের তথা এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। মৌলভীবাজারও সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এ হাওরের উপর কোন না কোনভাবে নির্ভরশীল। এজন্য এ হাওরকে জাতীয় হাওর ঘোষণারও দাবী জানান।
সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় জাপা নেতা আহমেদ রিয়াজ বলেন, হাকালুকির কৃষক ও মৎস্যজীবিদের বাচাতে হাওর রক্ষায় প্রয়োজনীয় বাধ নির্মাণ, বিল ও নদ-নদী খনন করতে হবে। বিশেষ করে জলাভুমির ইজারা প্রথা বাতিল করতে হবে। রোববার দুর্গত এলাকা সুনামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি হাকালুকি এসে দেখে যান হাজার হাজার কৃষক ও জেলের আর্তনাদ। সুনামগঞ্জ থেকে কোন অংশে কম ক্ষতিগ্রস্থ হাকালুকি পারের বাসিন্দারা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কৃষক পার্টির বড়লেখা উপজেলা আহবায়ক সুনাম উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান পারভিন, সোলেমান আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, মকবুল আলী, রওশন আলী, ফৈয়াজ আলী, প্রদীপ চন্দ্র সাহা, রজব উদ্দিন, আব্দুন নুর, আব্দুর রহমান প্রমূখ।
মন্তব্য করুন