আলোচিত স্কুল ছাত্রী আনজুম হ/ত্যাকারীর ফাঁ/সির দাবীতে মান/বব/ন্ধন, বি/ক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

June 23, 2025,

স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়ার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম হত্যাকারী ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তার সহপাঠী ও সচেতন যুব সমাজ।

সোমবার ২৩ জুন দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব ও আদালত এলাকায় শিক্ষার্থী ও সচেতন যুব সমাজের আয়োজনে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা আদালত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক জুনেলের দ্রুত বিচারকার্য সমাপ্ত করে ফাঁসির দাবী করেন।

বহুল আলোচিত ঘটনার বিচার চেয়ে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, এপিপি এডভোকেট নিয়ামুল হক, সাংবাদিক মু. ইমাদ উদ-দীন, রাজনীতিবিদ মাহমুদ খান আক্তার, ইউপি সদস্য ছয়ফুল ইসলাম ও  লুৎফুর রহমান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাচ্চু, ছাত্র সমন্বয়ক কাজী মুনজের, শিক্ষক খালেদ আহমদ, তাজুল ইসলাম, ইহাম মুজাহিদ, নিহত আনজুমের পিতা আব্দুল খালিক, ভাই আফিফ ইসলাম রাদিন, শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান লিমন, সৈয়দা রেহানা আক্তার, সামিয়া আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী আনজুম হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে এনে বিচারকার্য করে আসামী জুনেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যতায় আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে। আসামী জুনেল পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করলেও গত ১৯ জুন বিজ্ঞ আদালতে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আমরা ধারণা করছি, এই নৃশংস হত্যাকান্ডটি কেউ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মামলার আগামী তারিখে আসামী জুনেলের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান।

এদিকে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আব্দুল মতিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থী আনজুম হত্যার বিচার হবে। এই মামলা পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব আমি নিলাম। এই মামলায় কোন প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। হত্যাকারী জুনেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। যার অনুলিপি দেয়া হয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের উপদেষ্ঠা, আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠা, পুলিশ মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার,  ওসি কুলাউড়া থানা বরাবরে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে শিক্ষার্থী আনজুম পাশ^বর্তী সিংগুর গ্রামে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে ও শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১৪ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের ছড়ার পাড়ে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান। পরে ধর্ষনের পর শিক্ষার্থী আনজুমকে হত্যা করে পাশ^বর্তী দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে জুনেল মিয়া। এ ঘটনায় আনজুমের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সমগ্র দেশে সমালোচনার তৈরি হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com