একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা শিক্ষা বান্ধব রজত শুভ্র চক্রবর্তী

December 25, 2021,

বিকুল চক্রবর্তী॥ সামাজিক অবক্ষয় এবং এর থেকে উত্তরণের বিষয়কে উপজীব্য করে স্বরচিত ৪১ টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “ প্রতিবিম্ব ” বিনামুল্যে বিতরণ করছেন রজত অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবর্তী। বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং সামাজিক মুল্যবোধ ধরে রাখতে তার এ প্রয়াস। রজত শুভ্র চক্রবর্তীর পেশা অধ্যাপনা হলেও সমাজের সূর্যকিরণের ন্যায় চতুষ্মূর্খী আলোক কনিকার ভূমিকায়ও রয়েছেন তিনি।
তিনি একাধারে অধ্যাপক, নাট্যাভিনেতা, কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, প্রুভরিডার, আবৃত্তিকার, যাদু শিল্পী, রোভার স্কাউট লিডার, উপস্থাপক, ক্রীড়ামোদী, রাজনীতিক নেতা ও সর্বোপরি তিনি একজন সমাজ হিতৈষি।
রজত শুভ্র চক্রবর্তী ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের তৎকালীন সিলেট জেলার অন্তর্গত মৌলভীবাজার মহকুমার অন্তর্ভূক্ত বর্তমান শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব শ্রীমঙ্গল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম গিরীন্দ্র কুমার চক্রবর্তী মাতার নাম সুবাসিনী চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগী প্রধান হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ কেন্দ্রের এইচ.এস.সি প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা অর্জনের প্রতি প্রবল আগ্রহ নিয়ে নিজেকে একজন মানব সম্পদ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র জীবন থেকেই সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মানসিকতা লালন করে আসছেন তিনি, সফলতাও এসেছে উল্লেখ করার মত। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় যাদুশিল্পী ওস্তাদ আক্তার হোসেনের নিকট যাদুবিদ্যায় প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াকালীন চট্টগ্রাম জিইসি মোরে অবস্থিত দেশের প্রথম শ্রেণির কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভুঁইয়া একাডেমি থেকে কম্পিউটার চালনার শিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ড.শাহ মণি স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ঢাকায় আন্তর্জাতিক যাদুশিল্পী সম্মেলনে যাদু প্রদর্শন করে রৌপ্য পদক অর্জন করেন তিনি।
বিশ^বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে ১ জানুয়ারি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডস্থ শ্রীমঙ্গল আদর্শ মহাবিদ্যালয়-এ যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৫ অক্টোবর ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রভাষক হিসেবে দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল-এ যোগদান করেন এবং ১ জানুয়ারি ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে উক্ত কলেজে অদ্যাবধি কর্মরত। মেধার বিকাশ ও আত্মনির্ভরশীল মানুষ তথা মানব সম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল-এর গার্ল ইন রোভার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহকারী রোভার স্কাউট লিডার (আর.এস.এল) শিক্ষক হিসেবে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের ( বিসাকে) বই পড়া কর্মসূচির আওতায় দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের সংগঠক (বিসাকে-২৮৬২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চাকুরি ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে কলেজের শিক্ষক হিসেবে ন্যাশনাল একাডেমি ফর এডুকেশন্যাল ম্যানেজমেন্ট ঢাকা থেকে ১০ম ব্যাচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ এবং এ প্লাস ( A+) সহ ব্যাচের ২য় স্থান অর্জন করেন তিনি। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কুমিল্লা থেকে ৪০তম ব্যাচে ৪০দিন ব্যাপী যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করে এ প্লাস (A+ ) সনদ অর্জন এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ১৯৫ তম রোভার স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্সে অংশগ্রহণ এবং সফল সমাপ্তির পর আর.এস.এল পদবী অর্জন করেন। ২০১০ এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কুমিল্লায় যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের ৪৩ তম এবং ৫১ তম ব্যাচে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিয়োগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিসোর্স পার্সন (তথ্যজ্ঞ ব্যক্তি) হিসেবে উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্স সমূহের প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আগত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার সৌভাগ্য লাভ করেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে মৌলভীবাজার সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার প্রথম রোভার মুট-এ রোভার স্কাউট লিডার হিসেবে দলের সাথে অংশ গ্রহণ এবং মুট পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়-এর অধীনে পরিচালিত এই.এস.সি কোর্সের দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ , শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম টিচাসর্ ট্রেনিং (টি.টি) কলেজে অনুষ্ঠিত সমগ্র বাংলাদেশের রোভার স্কাউট লিডার এডভান্স প্রশিক্ষণ কোর্স ইন্দাবা সনদ অর্জন করেন তিনি।
রোভারিং কার্যক্রমে গৌরবময় ভুমিকা রাখার জন্য ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
অদম্য মনোবল নিয়ে জ্ঞান সাধনা থেমে থাকেনি রজত শুভ্র চক্রবর্তী’র। তাই ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ” এর শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত Ò ICT in Education Literacy , Troubleshooting & Maintenance Ó  বিষয়ক সনদ অর্জন করেন। কলেজের চাকুরি ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে ক্রমশ: এগিয়ে যাওয়া রজত শুভ্র চক্রবর্তী ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলার কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন।
ছাত্র জীবন থেকেই সংবাদপত্রের লেখালেখির ঝোঁক ছিল তাঁর। পেশাগত জীবনেও তা থেমে থাকেনি। তাই কলেজের চাকুরির পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে যোগ দিয়ে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ থেকে আয়োজিত সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সনদ অর্জন করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল-এর গভর্ণিং বডি’র শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সচিব, অনুষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সচিব হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন এবং অপরূপা পল্লবিতা প্রকল্পের (কলেজ বনায়ন কর্মসূচি) প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন, এইচ.এস.সি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবেও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তিনি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক (SSC) এবং ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) পাশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে সিলেট এম.সি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের বি.এ.অনার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের মাষ্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন কলেজ জীবনেই। তৎকালীন সিলেট থেকে প্রকাশিত “ জৈন্তাবার্তা ”, “ সিলেটের ডাক ”, “ মুক্ত কলম ” সহ বিভিন্ন দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে শুরু করেন তার সাহিত্য চর্চা। ছোট গল্প, কবিতা এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করেন অসংখ্য। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাশ মাষ্টার্স পাশ করার পরেই কলেজ শিক্ষক হিসেবে পেশাগত জীবনের যাত্রা শুরু হয়। এর কয়েক বৎসর পর থেকেই দেশের প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা এবং লেখালেখির শুরু হয়। এবারে দেশের গন্ডী পেরিয়ে বিদেশে বহুল প্রচারিত যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন এবং প্রিন্ট ভার্সন পত্রিকায় তার অনেকগুলো প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
২০২০ খ্রিস্টাব্দে সামাজিক অবক্ষয় এবং এর থেকে উত্তরণের বিষয়কে উপজীব্য করে স্বরচিত ৪১ টি কবিতা নিয়ে “ প্রতিবিম্ব ” নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। বইটি প্রকাশের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি জানান, নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ করা এবং বাঙ্গালীর সামাজিক ভিত আরো সুদৃঢ় করা। এ লক্ষে তিনি প্রায় দুই হাজার বই প্রকাশ করে বিনা মুল্যে বিতরণ করছেন।
ক্রীড়া জগতেও রয়েছে তার সরব বিচরণ। তিনি প্রায়শ্চয়ই ফুটবল, ক্রীকেট, কেরাম বোর্ড, বেডমিন্টনসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি পূর্ব শ্রীমঙ্গল থেকে প্রকাশিত শারদীয় সংকলন“কল্যাণী”এবং দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজ,শ্রীমঙ্গল থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন“সৃজিতা” সম্পাদনা করেন, শ্রীমঙ্গল থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা“নাগর দোলা”প্রকাশের সাথেও সম্পৃক্ত। সাহিত্য সংস্কৃতির এক ঐতিহ্যবাহী এলাকা শ্রীমঙ্গলে সুস্থধারার সাহিত্য চর্চার এক সুনামধন্য সংগঠন মৌচাক সাহিত্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্রজীবন থেকে অভিনয়ের প্রতি রয়েছে প্রবল আগ্রহ। বহু পথ নাটক, মঞ্চ নাটক, টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন যা এখনও অব্যাহত আছে। নাট্য সংগঠন দেশ থিয়েটার, শ্রীমঙ্গল এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার নাট্য সংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম সভাপতিও তিনি। খেলা এবং ছবি আঁকা, ক্যামেরায় প্রকৃতির ছবি তোলা, দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ ইত্যাদির প্রতিও রয়েছে তাঁর প্রবল ঝোঁক। একই সাথে তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোভার স্কাউট লিডার, মানবাধিকার কর্মী এবং সামাজিক সংগঠক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ জন্মমাটির মানুষের প্রতি আজন্ম ভালবাসা থেকে করোনার ভয়াবহ বিস্তার রোধে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত কমিটির কার্যক্রমে সদস্য হিসেবে সংযুক্ত হয়ে প্রচার কার্যে অংশগ্রহণ করেছেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পক্ষ থেকে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছেন, এলাকার যুব সমাজকে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্বল্প আয়ের মানুষজন এবং কর্মহীন মানুষদের মাঝে।
জীবনের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন একজন সাধারণ মানুষ হয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চান এই সমাজে , স্বপ্ন দেখেন ইতিবাচক পরিবর্তনের হাত ধরে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার মত মানুষজন অচিরেই এই পৃথিবীতে আসবে, হিংসা –বিদ্বেষ দূরে ঠেলে প্রজাপতির ডানার মত বর্ণিল আয়োজনে আগত শিশুদের জীবন হবে বর্ণময়, ছোটখাটো স্বপ্ন দেখা মানুষজনের স্বপ্ন পূরণে কোন অপরাজনীতি কিংবা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। আর সমাজের শুভ চিন্তক, মেধাবী, নিবেদিতপ্রাণ মানুষজনের মূল্যায়ন হবে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে-এমন সমাজ ব্যবস্থাই তিনি কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com