কমলগঞ্জে শ্মশানভূমি নিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজনা ॥ প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতা বৈঠক

November 7, 2020,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ই্উনিয়নের পালজোয়ান মৌজার পালগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশান দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার স্থানীয় কিছু লোকজন শ্মশানের জায়গায় বেড়া দিয়ে ও ধান শুকানোর মাঠ তৈরী করলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে দু’পক্ষের সাথে বৈঠকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, পালজোয়ান মৌজার ৮৪ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে শ্মশান ভূমি হিসাবে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যবহার করে আসছে। সম্প্রতি সময়ে গ্রামের আব্দুল মজিদ, ফজর আলী, জামাল মিয়া, আনু মিয়া, কনাই মিয়াসহ কিছু ব্যক্তিবর্গ ওই ভূমির কিছু অংশ কবরস্থানের জন্য দাবি করে আসছেন। এনিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে ৩ নভেম্বর পালগাঁও গ্রামের চয়ন দেবনাথ বাদি হয়ে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নালিশা ভূমির সরেজমিন তদন্ত করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় ও দখল রাখার বিষয়ে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। শুক্রবার এই শ্মশান ভূমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

পালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য চয়ন দেবনাথ, শিক্ষক তপন কুমার দাস, হরিপদ দেবনাথ বলেন, আমাদের শ্মশান ভূমির জায়গায় কয়েকদিন পূর্বে আব্দুল মজিদ, ফজর আলীসহ প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আঁধারে ধান শুকানোর মাঠ তৈরি করে শ্মশানের সাইনবোর্ড ও বেড়া উপড়ে ফেলে। একইভাবে শুক্রবারে সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ্মশানের কিছু অংশ নতুনভাবে দখল করে বেড়া নির্মাণ করে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে দু’পক্ষের লেঅকজনের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনাকালে সরকারের ১নং খাস থতিয়ানভূক্ত ভূমিটি শ্মশানভূমি হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পিপি এড. এএসএম আজাদুর রহমান আজাদ, মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড. মো: সানোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে  প্রশাসনের উপস্থিতিতে দখলদার কর্তৃক বাঁশের বেড়া উপড়ে দেয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

১টি মন্তব্য “কমলগঞ্জে শ্মশানভূমি নিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজনা ॥ প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতা বৈঠক”

  1. শ্মশান ভুমি নিয়ে বিরোধ দেশের কোন মানুষ পছন্দ করেন না । কমলগঞ্জ উপজেলার পাল জোয়ান গ্রামের শ্মশান ভুমি নিয়ে স্থানিয়দের মধ্যে কিছু ভুল বুজাবুজি হয়েছিল, যা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ্য মোহম্মদ রফিকুর রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আশেকুল ইসলাম এর উদ্যোগে সমাধান হয় । তাই কমলগঞ্জের সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ রফিকুর রহমান ও জনাব আশেকুল ইসলাম এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সৃষ্টি কর্তার কাছে তাদের দীর্ঘ ও সুখি জীবন কামনা করছি ।

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com