জুড়ীতে সকাল-সন্ধ্যা অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে ক্ষমা চেয়ে মুক্ত করলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

আল আমিন আহমদ॥ জুড়ীতে এলাকাবাসী কর্তৃক দিনভর অবরুদ্ধ থাকা এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সন্ধ্যায় ক্ষমা চেয়ে উদ্ধার করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ঘটনাটি রবিবার উপজেলার হাকালুকি হাওর তীরবর্তী শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদায়ী সভাপতি আব্দুল আজিজ অভিযোগ করেন- আমি দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ। এ সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে বিভিন্ন বরাদ্ধ আসে। কিন্তু আমার অসুস্থতা ও সরলতার সুযোগে প্রধান শিক্ষক কুলমোহন দাস কোন কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নতুন কমিটি করেন। এ বিষয়ে রবিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে সভা অনুষ্টিত হয়। আমি লিখিত ভাবে প্রধান শিক্ষকের নিকট হিসাব চাইলে তিনি আমার আবেদন রাখেননি। পরে এলাকাবাসী উনাকে অবরুদ্ধ করে। উনার ফোনে জুড়ী থানার এসআই সুপ্রিয় নন্দী পুলিশ নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। পরে শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে তিনবার হাত জোড় করে এলাকাবাসীর নিকট ক্ষমা চেয়ে সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষককে মুক্ত করেন।
এদিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে প্রধান শিক্ষক কুলমোহন দাসকে মুক্ত করতে কয়েকজন শিক্ষক নেতা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে ফোন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কুলমোহন দাস বলেন- শিক্ষা অফিসার বিষয়টি সমাধান করেছেন, তাই আমি আর কিছু বলব না।
জানতে চাইলে জুড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মন্তোষ কুমার দেবনাথ বলেন- প্রধান শিক্ষক ভুল ভাবে একটি কমিটি করেছিলেন, সেটা নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। সব বিষয় সমাধান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন