ঝুঁকিমুক্ত হাকালুকির মাছ
স্টাফ রিপোর্টার॥ হাকালুকির পানি ও মাছের অবস্থা এখন ভালো। গেল ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে হাওরের পানির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে ফিরে আসছে আগের অবস্থায়। হাকালুকিতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মাছ। একারনে কমবেশি দেশীয় প্রজাতির মাছ স্থানীয় বাজার গুলোতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রোগ বালাইয়ের ভয়ভীতি থাকায় এ মাছ খেতে অনীহা স্থানীদের। তাদের ধারণা দূষিত পানির মাছ খেলে কোন ক্ষতি হয় কি না। তাদের এমন ভীতি কাটাতে উদ্দ্যোগী হয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। হাকালুকি হাওরের মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের ভীতি কাটাতে মৎস্য বিভাগ হাওরপারের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চলছে সচেতনতা বৃদ্ধির নানা কার্যক্রম। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাইক যোগে প্রচারণা ও স্থানীয় বাজার গুলোতে সভা করা। জানা যায় সম্প্রতি চৈত্র মাসে অকাল বন্যার পর হাকালুকি হাওরের মাছ মরে যায়। এখন মাছ মরা বন্ধ হলেও মানুষের মধ্য মাছ খেয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয় কাজ করছে। হাওরে মাছ বাজারে উঠলেও অনেকেই সে মাছ কিনতে চান না। ব্রাহ্মণবাজারের মাছ বিক্রেতা সাবিত আলী ও আয়াত আরী বলেন হাওরের মাছ আগে না পেলেও এখন আসছে। এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মাছ। তারপরও ব্যবসায় কম। কারন এখন হাওরের মাছের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। তাই মাছ বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ.ক.ম শফিক উজ জামান জানান মাছ খাওয়ার ভীতি কাটাতে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ কুলাউড়া,জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় মাইকিং করছে। হাকালুকি হাওর পাড়ের এই তিন উপজেলায় সভা করছে। এ ছাড়া স্থানীয় ছোট বড় বিভিন্ন হাটবাজারে সচেতনতা মূলক লেখা সম্বলিত ব্যানার টানানো হয়েছে। প্রচারণায় বলা হচ্ছে হাওরের পানির ভৌত রাসায়নিক ও মাছের বাহ্যিক গুণাগুণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, হাকালুকির মাছ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এতে মানুষের জন্য কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তাই হাওরের মাছ খেলে মানুষের কোন ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন আশা করছি এমন প্রচারণার পর মানুষের মধ্যে আগের মত মাছ খাওয়া নিয়ে চলা ভীতি আর থাকবেনা।
মন্তব্য করুন