নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে- সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজল ও হাজরা

October 4, 2021,

স্টাফ রিপোর্টার॥ নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা আমাদের ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা ভোটকেন্দ্র দখল করে নেবে। আমরা আশংকা করছি দুপুর ২ টা থেকে ৪ টার মধ্যে ভোট কারচুপি করা হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। আগামী ৭ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজল হক (ঘোড়া) ও প্রেমসাগর হাজরা (আনারস) এই দুই প্রাথী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উল্লেখিত অভিযোগগুলো করেন।
৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, জনগন ভোট সেন্টারে যাবে, ভোট দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে বিজয়ী হবে তাকে আমরা মেনে নেবো। তবে বেশি ঝুকিপূর্ণ রয়েছে পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, আশিদ্রোনসহ কয়েকটি কেন্দ্র।এই কেন্দ্রগুলোতে যাতে ভোট কারচুপি না হয় সেলক্ষে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।
তারা আরও দাবি জানান, শ্রীমঙ্গলের সকল কেন্দ্রে বিজিবি মোতায়েন করা হউক। তা ছাড়া চা শ্রমিক ভোটাররা খুবই শান্তিপ্রিয়। তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুভাবে ঘোষণার দাবি জানান তারা।
ভোটের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করার পরিকল্পনা করছেন। যেহেতু শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কোন দূর্গম এলাকা নেই। সেহেতু আমরা আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘন্টা আগে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর। তারা অভিযোগ করে বলেন আমরা লক্ষ্য করেছি নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই আমাদের কর্মী সমর্থকদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের প্রচারণায় ব্যাঘাতও ঘটাচ্ছেন। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও মিছিল এর মাধ্যমে শহর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে ভোটারদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
তারা বলেন এই নির্বাচনে ভোটাররা শান্তিপ্রিয়। এখানে চা বাগানের একটি বড় অংশ রয়েছে। তারা সব সময় জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আসছে। তাদের ভোটাধিকারে যেন কোন অবস্থায় হস্তক্ষেপ করা না হয়। আমরা এই উপজেলা নির্বাচনে একটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন এই নির্বাচনে যদি নৌকার প্রার্থী কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেন। যদি ভোট কারচুপি করতে চান। তাহলে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এবং এই পরিস্থিতির জন্য নৌকার প্রার্থীকেই দায়ী থাকতে হবে। সে জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেন এই নির্বাচনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থেকে ভোট কারচুপি হওয়া থেকে রক্ষা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভানু লাল রায় (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রব (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজল হক (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
জানা যায় ২১ মে উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব মারা যান। পরে চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ৭ অক্টোবর এই পদে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। উপজেলা উপ নির্বাচনে ২লক্ষ ৩৩ হাজার ৯শ ১৬ জন ভোটার রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com