পৃথক ভাবে ৩ তরুনী ধর্ষিণের অভিযোগে ৩ ধর্ষক রাজনগর পুলিশের খাঁচায়

স্টাফ রিপোর্টার॥ পৃথকভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে ৩ তরুণীকে ধর্ষণকারী ৩ যুবককে আটক করেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর থানা পুলিশ। সাথে ৩ তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের সালন গ্রাম থেকে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তি (ফুফা সম্পর্কীয়) ১২ বছর বয়সী মুন্নিকে ফুঁসলিয়ে গাজিপুর জেলা নিয়ে যায়। মেয়েটির অসহায়ত্বের সুযোগ পেয়ে সেখানে তার সাথে অনৈতিক কাজ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিমের নির্দেশনায় থানার এসআই আবুল কালাম গাজিপুরের কাশিমপুরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সেলিম রেজাকে আটক করে। সাথে মুন্নিকেও উদ্ধার করে রাজনগর নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়েরসহ শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেলিম রেজার মূল বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
এদিকে চাঞ্চল্যকর আরেকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজনগর উপজেলায়। রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে তমা আক্তার ও নুজবা তাজরীন লামিয়া নামের আপন দুই খালাতো বোনকে পৃথকভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৯ সেপ্টম্বর রাজনগর উপজেলার মহাসহস্র নিয়ে আসে শেখ সুমন আহমেদ ও রুম্মান নামের দুই যুবক।
পুলিশ জানায়, ঠিক একই ভাবে তরুণীদের অসহায়ত্বের সুযোগ বুঝে তাদের সাথেও অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় তারা। রাজধানীর মিরপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার উৎস খুজতে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে রাজনগর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই দুই যুবকের অবস্থান সনাক্ত করে বৃহস্পতিবার রাজনগর উপজেলার মহাসহস্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট সুমন ও রুম্মানকে আটক করে। সাথে ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। সুমন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাউরভাগ এলাকার হারুনুর রশীদ’র পুত্র। ধৃত রুম্নান সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এলাকার আব্দুস সত্তারের পুত্র। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম পৃথক দুটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার ২ অক্টোবর রাতে বলেন, তমা, লামিয়া ও অপহরণকারী ওই দুই যুবককে মিরপুর থানায় পাঠানো হয়েছে। অপর ঘটনায় ধর্ষণ মামলায় শুক্রবার মৌলভীবাজারস্থ আদালতে পাঠানো হয়েছে সেলিম রেজাকে।
মন্তব্য করুন