মজুরী বোর্ডের পক্ষপাতমুলক সুপারিশ স্থগিতের দাবিতে চা শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি

আব্দুর রব॥ মজুরী বোর্ডের পক্ষপাতমুলক সুপারিশ সম্বলিত বৃহস্পতিবার ১০ আগষ্ট প্রকাশিত গেজেট স্থগিতের দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের জুড়ী ভ্যালির নেতৃবৃন্দ সোমবার ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, নিম্নতম মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক বরাবর।
বড়লেখা ইউএনও’র কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা শ্রমিক ইউনিয়ন জুড়ী ভেলির কার্যকরি পরিষদের সভাপতি কমল চন্দ্র বোনার্জী, সহসভাপতি শ্রীমতি বাউরি ও সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার পাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়লেখার পাথারিয়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোহন রিকমুন, সাধারণ সম্পাদক জয় বোনার্জী, লক্ষীছড়া চা বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক মাখন সিং, চা শ্রমিক নেতা কার্ত্তিক সিং প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে শ্রমিক নেতারা জানান, প্রায় দুই বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও ঘোষণায় চা শ্রমিকদের দৈনিক নিম্নতম মজুরী ১৭০ টাকা নির্ধারিত হয়। কিন্ত মজুরী বোর্ড দৈনিক মজুরী ১৬৮ ও ১৬৯ টাকা প্রদানের সুপারিশ করেছে।
এছাড়া মজুরী বোর্ডের সুপারিশে বন্টনকৃত ধানী জমি থেকে রেশন কর্তন, শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উৎসব ভাতা ৬০ দিনের স্থলে ৪৭ দিন করে ১৩ দিনের মজুরী প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যা চা শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী এবং চা শিল্পের জন্য চরম অসনি সংকেত।
প্রকাশিত গেজেটে মজুরী বোর্ডের সুপারিশ চা শ্রমিকদের রক্ষায় নয়, বরং এতে মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে। অবিলম্বে প্রকাশিত পক্ষপাতমুলক এই গেজেট স্থগিতের দাবি জানান চা শ্রমিকরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, চা শ্রমিক ইউনিয়নের জুড়ী ভ্যালির নেতৃবৃন্দের একটি স্মারকলিপি পেয়েছেন। স্মারকলিপিটি তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন