শব্দ দূষণ প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীদের আবেদন

জুড়ী প্রতিনিধি : জুড়ী উপজেলায় শব্দ দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
রবিবার ২২জুন শিক্ষার্থীরা লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন মাইকিং, উচ্চ শব্দে বিজ্ঞাপন প্রচার, অপ্রয়োজনীয় গাড়ির হর্ণ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর অতিরিক্ত শব্দের কারণে এলাকার পরিবেশ ও জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এসব অনিয়ন্ত্রিত শব্দ বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মারাত্মক ক্ষতি করছে এবং শিশুদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমনকি শব্দ দূষণের প্রভাবে বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তারা জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে যেভাবে মাইকিং করছে তা বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী।
শুধু শহরেই নয়, ওই শব্দ দূষণ এখন গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। উচ্চ শব্দের গাড়ির হর্ণ এবং বেপরোয়া মাইকিংয়ের ফলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা শব্দ দূষণ প্রতিরোধে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে— ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার (যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, এসএমএস), পোস্টার ও বিলবোর্ডের ব্যবহার, স্থানীয় সভা বা আলোচনার মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ এবং সবুজ এলাকা বৃদ্ধির মতো পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে জুড়ীর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক সচেতন অভিভাবক জানান, “শব্দ দূষণের কারণে ঘরে বসেও সন্তানদের পড়ালেখা ঠিকভাবে করানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বললেন, আগামী আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করে ব্যবসায়ীসহ যারা এ ধরনের শব্দ দূষন করে তাদেরকে সর্তক করে দিব।
মন্তব্য করুন