শ্রীমঙ্গলের মাইজডিহি পাহাড়ে প্রস্তাবিত হযরত শাহ জালাল (রহ:) দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার ভূমি নির্ধারণ

সালেহ আহমদ (স’লিপক) : শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজডিহি পাহাড়ে প্রস্তাবিত হযরত শাহ জালাল (রহ:) দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার ভূমি নির্ধারণ, জরিপ এবং সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৬ইং সালের জানুয়ারী মাস থেকে ক্লাস শুরু করার লক্ষ্যে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজও অচিরেই শুরু হবে।
শনিবার ২১ জুন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মাইজডিহি পাহাড় এলাকায় ৪/৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যালয় কিংবা মাদরাসা সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় এলাকার শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা ও পবিত্র কোরআন হিফজ এর ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্য ধারণ করে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে মাওলানা শাহ্ মহিবুর রহমান জালালী আল আবেদীর সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা কিবরিয়া এর পরিচালনায় ভূমি নির্ধারণ, জরিপ এবং সীমানা পিলার স্থাপনকালে মুক্ত আলোচনায় মো: আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন এমজেইউজে (রেজি নং- মৌল ০৩৮) সদস্য মো: সালেহ আহমদ (স’লিপক), বাংলাদেশ হিযবুর রাসূল (দ.) মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আহবায়ক আব্দুছ ছাত্তার মোরশেদ, হাফিজ মো: নুরুল ইসলাম, মো: সাহিন মিয়া, শাহ আহমদ রেজা, ফারহান আহমদ, মো: আব্দুল্লাহ, মো: সামসুর রহমান, মো: ফইরান মিয়া, ইনান মিয়া, ফজলু মিয়া, রুমান মিয়া, সাহেল আহমদ, মো: বাবলু আহমদ, মো: জাহেদ, ফজলুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকরা বলেন, মাদরাসা নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করা মুসলমানদের ইমানী দায়িত্ব। আশাকরি এলাকার লোকজনের আন্তরিক সহযোগিতায় অতি দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে। এসময় তারা মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং মাদরাসাটির নির্মাণ কাজে স্থানীয় এলাকাসহ আশপাশের বিত্তবান ও প্রবাসীদেরকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান এবং নিজেরাও যথাসাধ্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এখানে মাদরাসা হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত উল্লেখ করে প্রস্তাবিত হযরত শাহ জালাল (রহ:) দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা শাহ্ মহিবুর রহমান জালালী আল আবেদী বলেন, আশপাশ এলাকার মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। অচিরেই নির্মাণ কাজ শেষ করে মাদরাসাটি চালু হলে এতদাঞ্চলের শিশুদেরকে ইসলাম ও কোরআনের খেদমতে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। এটি একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মাদরাসা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্জন ও কোলাহলমুক্ত জায়গা হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যঘাত ঘটবে না। আমরা প্রথমে হাফিজিয়া মাদরাসা এবং আলিয়া পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্রমান্বয়ে দাখিল পর্যন্ত পাঠদানে উন্নতি করার পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করছি। তিনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণ কাজে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
পরে দুরুদে মোস্তফা (দ.), বিশেষ মোনাজাত এবং তাবারুক বিতরণে মাধ্যমে মহতী কাজের সমাপ্তি করা হয়।
মন্তব্য করুন