শ্রীমঙ্গলে জপমালা রাণী মা মারীয়ার তীর্থোৎসবে হাজারো ভক্তের পদাচারণা

October 31, 2022,

বিকুল চক্রবতী॥ “বিশ্বাস গঠণে ‘মা মারিয়ার সাথে একত্রে পথচলা“ এই প্রতিপাদ্যের উপর ভিক্তি করে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের সেন্ট মেরিস চার্চে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের উদযাপিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়ার ৩৩ তম, তীর্থোৎসব।
রবিবার ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় দুইদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হয় জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব। এর আগে সকাল ১১টায় তীর্থের মহা খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়।
মহা খ্রিষ্টযোগ উৎসর্গ করেন সিলেট কাথলিক ধর্মপ্রদেশ এর দ্বায়িত্বরত বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ। খ্রিষ্টযোগে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের প্রধান ধর্মযাজক ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, সহকারী যাজক ফাদার কেবিন কুবি সিএসসি,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ফাদার মৃণাল ম্রং, । এ সময়ও আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ প্রায় পাঁচ হাজার খ্রিস্টভক্তগণ। এর আগের দিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ ঘটিকায় খ্রিষ্টযোগ, জপমালা প্রার্থনা ও মোমবাতির আলোর শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সিলেট কাথলিক ধর্মপ্রদেশ এর বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বলেন, ঈশ্বর কুমারী মারীয়াকে বেছে নিয়েছে তার পুত্রের জননী হওয়ার জন্য, মা মারীয়া হলো উদ্ধারকর্তা ঈশ্বরপুত্র যিশুখ্রিষ্টের মা। জপমালা প্রার্থনা সময় স্তবে মা মারীয়াকে বলা হয় অমলোদ্ভবা মারীয়া। কারণ ঈশ্বর তাঁকে যিশুখ্রিস্ট্রের মা হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এবং কুমারী অবস্থায় গর্ভধারণ করে জন্মদান করেন মুক্তিদাতা যিশুখ্রিস্টকে।
তীর্থোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি বলেন, এই বছর আমরা এই স্থানে ৩৩তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থোৎসব পালন করছি। তিনি বলেন, যেহেতু শ্রীমঙ্গলের এই হরিণছড়া জপমালা রাণী মা-মারীয়া তীর্থ স্থানটি সিলেট কাথলিক খ্রিষ্টান ডাইসিসের একমাত্র তীর্থ স্থান, এখানে সিলেট বিভাগে সকল জেলা-উপজেলায় বসবাসরত কাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলী ও দেশের বিভিন্ন বিভাগের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা এখানেই প্রতিবছর তীর্থোৎসব অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করেন এবং এবছরও তাই হয়েছে।
উৎসব উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য ডমিনিক সরকার রনি জানান, এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত করেন। উদ্দেশ্য সফলের লক্ষ্যে প্রার্থনা, অনুতাপ প্রার্থনা(পাপস্বীকার),আরাধনা সংস্কার,জীবন্ত ক্রুশে পথ ও জপমালা রানী মা-মারীয়া কাছে বিশেষ করে ধরণীর সকল মানব কল্যানে প্রার্থনা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com