ফিরে দেখা ২০২৪ এর সংঘাত, চব্বিশের জুলাই আন্দোলন, এক দফা দাবিতে অনড়, বিজয় ছাত্র-জনতার

এস এম উমেদ আলী : মৌলভীবাজারে চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিজয় যেভাবে অর্জন করলো ছাত্র জনতা। আন্দোলনের শুরুতে অর্থাৎ জুলাইর প্রথমদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাঁধায় শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামতে পারেনি। তবে জুলাইর ২য় সপ্তাহে সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। একত্রিত হতে দিতনা ফ্যাসিস্ট সরকারের অতি উৎসাহী পুলিশরা। তার পরও শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ করতো। এক পর্যায়ে আন্দোলন কারীদের সমর্থন দিয়ে বিএনপি, জামায়েত সহ সাধারণ মানুষ রাজপথে নামতে শুরু করে। এতে পুলিশ আরও বেশী মারমুখি হয়ে উঠে। কম বয়য়ী বা যেকাউকে দেখা মাত্র অকথ্যভাষায় গালিগালাজ, লাটিচার্জ করতে দ্বিধা ছিলনা তাদের। এমনকি আটক করে পুলিশের গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যেত থানায় কিংবা ডিবি কার্যালয়ে। আটকদের প্রতি পুলিশী নির্যাতন কোন ভাবে কমতী ছিলনা। ওই সময় গণমাধ্যম কর্মীরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেননি। তারা ছিলেন সবসময় পুলিশ,বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের রোষানলে। ৪ আগস্ট দুপুরে এক দফা দাবীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে বড় পরিসরে নামে রাস্তায়। শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারী মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা এলাকায় পৌছলে সৃষ্টি হয় রণক্ষেত্র।
কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সর্ব প্রথম ১০ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্যানার সহ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ গেইটে ক্ষুদ্র পরিসরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। ওই বিক্ষোভে বিশ^জিত নন্দী ও রাজিব সূত্রধর সহ ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
১৩ জুলাই দুপুরে কোটার যৌক্তিক দাবিতে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চৌমুহনা হয়ে জুলিয়া শপিং সিটির সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিলনা।
১৫ জুলাই থেকে বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদের ধর পাকড়ে মড়িয়া উঠে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি ও জামাতের অর্ধশত নেতাকর্মী। গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে অধিকাংশ নেতাকর্মীরা নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়া ছিলেন।
১৬ জুলাই থেকে শহরের প্রধান সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সুসংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ করে। দুপুরে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’র শিক্ষার্থীরা শমসেরনগর সড়কে মিছিল নিয়ে বের হয়। এসময় প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা চৌমুহনা এলাকায় পৌছলে পুলিশ লাটিচার্জ করে পন্ড করে দেয়।
এদিকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ১৬ জুলাই মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করলে তাদের উপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এসময় শিক্ষার্থী রাজিব সূত্রধর আহত হন। পূনরায় প্রেসক্লাবে মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চৌমুহনার দিকে যাইতে চাইলে পুলিশ ও যুবলীগের বাঁধায় বিক্ষোভ মিছিল পন্ড হয়ে যায়।
১৭ তারিখ বিকেলে প্রেসক্লাবে মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মিছিল সহকারে চৌমুহনায় পৌছলে পুলিশের সহযোগীতায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ওই হামলায় ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান এর নেতৃত্বে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরে।
১৭ জুলাই বাদ যোহর আন্দোলনরত শহীদ শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা জেলা শহরের পশ্চিমবাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতৃবৃন্ধ জানাযা শেষে সটকে পরেন।
১৮ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মৌলভীবাজার সরকাররি কলেজ থেকে বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে কয়েক দফা ছাত্রলীগ ও পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। বাঁধা পেড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের কোর্ট মার্কেট বা সাকুরা মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে চাইলে ছাত্রলীগ এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। শিক্ষাথীরা আত্মরক্ষার্থে মার্কেটের দোকানে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পায়নি। পুলিশের সমর্থনে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালায়। পরে পণ্ড হয়ে যায় তাঁদের কর্মসূচি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম সহ ২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের কঠোর ভাবে প্রতিহত করতে শহরের চৌমুহনা সহ বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয় মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। ওই সময়ে আন্দোলন প্রতিহত করতে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিছবাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো: কামাল হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সোয়েব, যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেত্রী সৈয়দা জেরিন হক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে কারফিউ জারি হয়। ২০ জুলাই বিকেলে মাঠে নামে সেনা সদস্যরা। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দ্দেশনায় সময় বেঁধে দিয়ে থেমে থেমে চলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কারফিউ। ওই সময়ে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি সড়কে টহল দেয় ও সড়কে চেক পয়েন্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা যায়।
শনিবার ৩ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এ মামলায় আহত হন ৩ জন শিক্ষার্থী।
৪ আগষ্ট দুপুরের মৌলভীবাজার শহরের রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্রের অবস্থান নিয়ে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত সহ প্রায় ১৫০ জন আহত হন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পূর্ব ঘোষনানুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় সাকুরা (কোর্ট) মার্কেটের সামনে আসা মাত্র শিক্ষার্থীদের বাঁধাদেয় পুলিশ। ওখান থেকে বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে আগাতে থাকেন প্রায় ৪ শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। তারা মিছিল সহকারে শহরের চৌমহনায় এলাকার দেওয়ানী মসজিদ সম্মুখে পৌছালে তাদের উপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অংঙ্গ সংগঠন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় অন্তত ৫০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত হন আন্দোলনকারী আরিফ ও মাহফুজসহ আরও কয়েকজন। এ সময় ৪ জন যুবলীগ নেতা আগ্নেয়াঅস্ত্র উচিয়ে গুলি করেন। আহতদের উদ্ধার করে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে না গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। গুরুত্বর আহত আরিফ ও মাহফুজ প্রায় ২ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। ঘটনার সময় ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তারা ছিল স্বৈরাচার স্বাসকের মমদদপুষ্ট।
সংঘর্ষ কিছু সময় থামলে অনুমান দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিনা কারণে কয়েকজন সাংবাদিকের উপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে আহত করে। আহতরা হলেন সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা এস এম উমেদ আলী। আহত হওয়ার পাশাপাশি ভাংচুর করা হয় মটর সাইকেল। আহত হন এখন টিভির প্রতিনিধি এম হামিদ। ভাংচুর করা হয় তার ক্যামেরা। এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মো: মাহবুবুর রহমান রাহেল, কেড়ে নেওয়া হয় তার মুঠোফোন, আহত হন মানব জমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মু.ইমাদ উদ-দীন, যমুনা টিভির প্রতিনিধি আফরোজ আহমদ, আব্দুল কাইয়ুমসহ আরও কয়েকজন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কাজ করেন এমন কয়েকজন আহত হন।
৪ আগস্টের আগে মোবাইল অপারেটর ও ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্যাংক, পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠাণ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চাপে ৪ আগস্ট সকাল থেকে চালু করা হয় ইন্টারনেট। মুহুর্থের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের মারধরের হৃদয় বিদারক দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূনরায় সুসংগঠিত হয়। তাদের সাথে যোগ দেন বিএনপি, জামায়েত, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সহ ফ্যাসিস্টদের আমলে নির্যাতিত ফ্যাসিস্ট বিরোধী রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠন সহ সর্বস্থরের প্রতিবাদী মানুষ।
পরে দুপুর ১ টার দিকে একত্রিত হয়ে আদালত সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, সমশেরনগর সড়ক, এম সাইফুর রহমান সড়ক হয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উপর পাল্টা হামলা চালায় ছাত্র-জনতা। ওই সময় পুলিশ নিজেদের রক্ষা করতে বড় সড়ক থেকে সরে মহল্লার সড়কে চলে যায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষ থেমে থেমে চলে আড়াইটা পর্যন্ত। ওই সময় কয়েকজন যুবলীগ নেতা আগ্নেয়াঅস্ত্র উচিয়ে গুলি করতে থাকেন। অপরদিকে তাদের লক্ষ্য করে ছাত্র-জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে গেলে পিচু হটে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শহরের চৌমুহনা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের ১ দফা দাবীতে মিছিল করে। উড়ানো হয় দেশের লাল সবুজ পতাকা। একই সময়ে আন্দোলকারী অনেকেই চৌমুহনায় সড়কের উপর যোহরের নামাজ ও শুকরানা নামাজ আদায় করেন।
এসময় পুলিশ আন্দোলন কারীদের হঠাতে ও চৌমুহনার আসে পাশে আত্মগোপনে বা লুকিয়ে থাকা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে রক্ষা করতে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ট গ্রেনেড ছুড়তে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পুলিশের ছুড়া রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্টগ্রেনেড উপেক্ষা করে জড়ো হতে থাকেন সর্বস্থরের মানুষ। এক পর্যায়ে প্রেসক্লাক মোড় থেকে এম সাইফুর রহমান সড়কের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয় মোড় পর্যন্ত সর্বস্থরের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন। যার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার। শহরের পূরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যায় ছাত্র জনতা। ৪ আগস্ট রাতেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা শহর ছেড়ে পালিয়ে যান।
আওয়ামীলীগ মাঠে না থাকলেও ৫ আগস্ট সকাল থেকে পুলিশ আরও বেপরওয়া হয়ে উঠে। ওদিন সেনাবাহিনী ও বিজিবির অবস্থান ছিল স্বাভাবিক। দুপুর ২টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন খবর ছড়িয়ে পরলে সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ মিছিল বের করে। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে ২য়বার স¦াধীন হয়েছে দেশ। আস্তে আস্তে পুলিশ নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়। এভাবেই সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে জুলাই বিপ্লব এর অবসান হয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের নির্যাতন থেকে মুক্তিপায় দেশের সর্বস্থরের মানুষ।
লেখক : এস এম উমেদ আলী, সিনিয়র সাংবাদিক, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
মন্তব্য করুন