ঈদ ও পূজাকে টার্গেট করে মৌলভীবাজারের সক্রিয় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা

September 25, 2013,

মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ সাত উপজেলায় ঈদ ও পূজাকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়েছে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। আর এদের কাছে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ। এ নিয়ে আতংকে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ। বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরি করে। জেলার সবক’টি উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই এহেন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন মানুষ। তবে ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশও কোনো ভূমিকা পালন করে না বলে প্রতারিত মানুষদের অভিযোগ। ঢাকার জাল নোট সিন্ডিকেটের কাছ থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করে প্রতারকরা কৌশলে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোন নোটটি আসল আর কোন নোটটি জাল তা নিয়ে প্রতিনিয়ত টাকা লেনদেনকারীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। জাল নোটচক্রের মূল হোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জাল টাকার ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি বছর ঈদকে সামরে রেখে সক্রিয় হয় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। জেলার সর্বত্র জাল টাকার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সক্রিয় প্রতারক চক্র মূলত ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০০, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার জাল নোট সংগ্রহের পর তা স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। জাল নোট বাজারে ছড়াতে প্রতারক চক্র মহিলাদের ব্যবহার করছে বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অনেকে ব্যাংক থেকেও জাল টাকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন। কিন্তু অনেকেই আসল কোনটি আর নকল কোনটি তা টের পাননা। পরবর্তীতে কোনো জায়গায় কোন কিছু কিনতে গিয়ে জাল টাকা প্রমাণিত হচ্ছে। তখন আর কিছুই করার থাকে না। অনেকে আবার ব্যাংকে গিয়ে টাকা দেখিয়ে এর সুরাহা চাইলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উল্টো গ্রাহকদের দোষে থাকেন। কেস স্টাডি-১ : গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের গরুর হাট থেকে গরু কিনে উত্তর চৌমুহনীতে গিয়ে জনৈক এক গরুর মালিককে ৪৮ টি ৫০০ শত টাকার নোট দিলে বিক্রেতার সন্দেহ হলে জাল নোট চিনতে পারলেও জাল টাকার ওই ব্যবসায়ী কৌশলে সটকে পড়ে। বিষয়টি বড়লেখা থানা পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই বিক্রেতার। কেস স্টাডি-২ : বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাল নোট বাজারজাতকরণের সময় প্রতারিত ব্যবসায়ীরা জাল নোটচক্রের তিন সদস্যকে সাড়ে ৪ হাজার টাকার ৬ টি জাল নোটসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর। এরা হচ্ছে-মোটরসাইকেল মেকানিক শ্যামল কপালী, সক্রিয় সদস্য কামরুল ইসলাম ও সেলিম মিয়া। পুলিশ ও প্রতারিত ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, উপজেলার রতুলী বাজারের মোটরসাইকেল মেকানিক শ্যামল কপালী দীর্ঘদিন ধরে বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে জাল টাকার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের কাশেমনগর বাজারে শ্যামল কপালী দুই সদস্য কামরুল ও সেলিমকে নিয়ে জাল ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট দিয়ে ছোটখাটো দোকানে ৫০/৬০ টাকার জিনিস কিনে বাকি টাকা সংগ্রহ করছিল। তিনটি নোট চালানোর পর চতুর্থ নোট চালাতে দিয়ে এক দোকানদারের সন্দেহ হলে প্রতারিত ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে শ্যামল কপালী, কামরুল ও সেলিমকে আটক করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতারিত ব্যবসায়ী আব্দুল মন্নান এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। প্রতিদিনি এ ধরণের অনেক ছোট-বড় ঘটনা প্রতিদিন ঘটলেও তা প্রকাশ পাচ্ছে না। কেস স্টাডি-৩ : সম্প্রতি জেলার কমলগঞ্জে একটি অভিজাত কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনে জাল টাকা দিয়ে কৌশলে সটকে পড়েন জনৈক মহিলা। মহিলা চলে যাওয়ার পর বিক্রেতার সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই মহিলাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রতারিত ব্যবসায়ীরা জানান, বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে। যারা বাজারে জাল নোট ছড়ায় তারা আসলে চুনোপুঁটি। পর্দার আড়ালে আছে প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালরা। রাঘব বোয়ালদের দ্রুত গ্রেফতার করা হলে জাল নোটের প্রতারণা থেকে এ এলাকার মানুষ রেহাই পাবে। এ বিষয়ে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম নেওয়াজ জানান, বিভিন্ন হাট-বাজার কমিটি, গরু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারকে জাল নোট সমন্ধে সতর্কতা গ্রহণ করে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য নির্দেশনা প্রধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন গরুর হাট ও বাজারে সাদা পোষাকে পুলিশ রয়েছে বলে তিনি জানান।
মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ সাত উপজেলায় ঈদ ও পূজাকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়েছে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। আর এদের কাছে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ। এ নিয়ে আতংকে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ। বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরি করে। জেলার সবক’টি উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই এহেন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন মানুষ। তবে ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশও কোনো ভূমিকা পালন করে না বলে প্রতারিত মানুষদের অভিযোগ। ঢাকার জাল নোট সিন্ডিকেটের কাছ থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করে প্রতারকরা কৌশলে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোন নোটটি আসল আর কোন নোটটি জাল তা নিয়ে প্রতিনিয়ত টাকা লেনদেনকারীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। জাল নোটচক্রের মূল হোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জাল টাকার ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি বছর ঈদকে সামরে রেখে সক্রিয় হয় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। জেলার সর্বত্র জাল টাকার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সক্রিয় প্রতারক চক্র মূলত ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০০, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার জাল নোট সংগ্রহের পর তা স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। জাল নোট বাজারে ছড়াতে প্রতারক চক্র মহিলাদের ব্যবহার করছে বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অনেকে ব্যাংক থেকেও জাল টাকা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন। কিন্তু অনেকেই আসল কোনটি আর নকল কোনটি তা টের পাননা। পরবর্তীতে কোনো জায়গায় কোন কিছু কিনতে গিয়ে জাল টাকা প্রমাণিত হচ্ছে। তখন আর কিছুই করার থাকে না। অনেকে আবার ব্যাংকে গিয়ে টাকা দেখিয়ে এর সুরাহা চাইলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উল্টো গ্রাহকদের দোষে থাকেন। কেস স্টাডি-১ : গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের গরুর হাট থেকে গরু কিনে উত্তর চৌমুহনীতে গিয়ে জনৈক এক গরুর মালিককে ৪৮ টি ৫০০ শত টাকার নোট দিলে বিক্রেতার সন্দেহ হলে জাল নোট চিনতে পারলেও জাল টাকার ওই ব্যবসায়ী কৌশলে সটকে পড়ে। বিষয়টি বড়লেখা থানা পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই বিক্রেতার। কেস স্টাডি-২ : বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাল নোট বাজারজাতকরণের সময় প্রতারিত ব্যবসায়ীরা জাল নোটচক্রের তিন সদস্যকে সাড়ে ৪ হাজার টাকার ৬ টি জাল নোটসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর। এরা হচ্ছে-মোটরসাইকেল মেকানিক শ্যামল কপালী, সক্রিয় সদস্য কামরুল ইসলাম ও সেলিম মিয়া। পুলিশ ও প্রতারিত ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, উপজেলার রতুলী বাজারের মোটরসাইকেল মেকানিক শ্যামল কপালী দীর্ঘদিন ধরে বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে জাল টাকার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের কাশেমনগর বাজারে শ্যামল কপালী দুই সদস্য কামরুল ও সেলিমকে নিয়ে জাল ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট দিয়ে ছোটখাটো দোকানে ৫০/৬০ টাকার জিনিস কিনে বাকি টাকা সংগ্রহ করছিল। তিনটি নোট চালানোর পর চতুর্থ নোট চালাতে দিয়ে এক দোকানদারের সন্দেহ হলে প্রতারিত ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে শ্যামল কপালী, কামরুল ও সেলিমকে আটক করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রতারিত ব্যবসায়ী আব্দুল মন্নান এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। প্রতিদিনি এ ধরণের অনেক ছোট-বড় ঘটনা প্রতিদিন ঘটলেও তা প্রকাশ পাচ্ছে না। কেস স্টাডি-৩ : সম্প্রতি জেলার কমলগঞ্জে একটি অভিজাত কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনে জাল টাকা দিয়ে কৌশলে সটকে পড়েন জনৈক মহিলা। মহিলা চলে যাওয়ার পর বিক্রেতার সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই মহিলাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রতারিত ব্যবসায়ীরা জানান, বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে। যারা বাজারে জাল নোট ছড়ায় তারা আসলে চুনোপুঁটি। পর্দার আড়ালে আছে প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালরা। রাঘব বোয়ালদের দ্রুত গ্রেফতার করা হলে জাল নোটের প্রতারণা থেকে এ এলাকার মানুষ রেহাই পাবে। এ বিষয়ে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম নেওয়াজ জানান, বিভিন্ন হাট-বাজার কমিটি, গরু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারকে জাল নোট সমন্ধে সতর্কতা গ্রহণ করে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য নির্দেশনা প্রধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন গরুর হাট ও বাজারে সাদা পোষাকে পুলিশ রয়েছে বলে তিনি জানান। কুলাউড়া অফিস॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com