কমলগঞ্জে চাপ দিলে পানি আসেনা নলকূপে; বিশুদ্ধ পানি সংকট

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুম আসলেই অনা বৃষ্টির কারণে ে কমলগঞ্জের হাওর-বাওর, খাল-বিল নদী-নালার পানি শুকিয়ে যায়। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কারণে নলকূপে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার পতনঊষার, মুন্সীবাজার, রহিমপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে অনেক নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী । এতে করে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
নলকূপ থেকে পানি পাচ্ছেনা এমন এলকার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছর ধরে শুষ্ক মৌসুমের দুই থেকে তিন মাস বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। এই সময়টায়
অগভীর নলকূপ থেকে পানি পাওয়া যায়না। ব্যাপক ভাবে পানির অপচয়, বোরোধান আবাদ বেড়ে যাওয়া, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় অপরিকল্পিতভাবে নলকূপ স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে পানির সংকট দেখা দেয়। যাদের নলকূপ ৪০০-৫০০ ফুটের গভীর তারা নিয়মিত পানি পান। আর যেসব নলকূপ ৫০ থেকে ১৩০ ফুট গভীর এসব থেকে পানি পাওয়া যায়না।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, নলকূপ থেকে পানি না পাওয়ার কারণে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। পাশের বাড়ি বা দূরবর্তী এলাকাথেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই পানির সংকট আগামী বৈশাখ মাস পর্যন্ত থাকে। অপরিকল্পিত নলকূপ ও সেচ বসানোর কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এদিকে নলকূপে পানি না পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এর মধ্যে কে আর রাসেল বলেন, আমাদের পশ্চিম সোনারগাঁও এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। একাধিক ডিপ-টিওয়েল এর কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, তাই পানির জন্য হাহাকার হচ্ছে। আমাদের এলাকা একবার পরিদর্শন করবেন। পানি ছাড়া মানুষ অচল, এই জনদোর্ভোগ দেখার যেন কেউ নাই।
কমলগঞ্জের স্থানীয় সংবাদকর্মী হিফজুর রহমান তুহিন বলেন, এলাকায় একাধিক ডিপ টিউবওয়েল থাকার কারণে চাপ টিউবওয়েলে (অগভীর নলকূপ) পানি উঠছেনা। ব্যবহারের পানি ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
পতনঊষার ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মাস্টার নুরুল ইসলাম হারুন বলেন, আমাদের এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবারের নলকূপে পানি উটছেনা আমার নলকূপ দুটি আছে একটি হলো ১৬০ ফুট আর একটি ১৩০ ফুট গভীর। এখন দুইটা নলকূপেই পানি আসেনা। অনেক কষ্ট করে পানি খেতে হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুজন আহমেদ বলেন, শুষ্ক মৌসুম আসলেই এই সমস্যা হয়। আসলে বোরো মৌসুমে সেচ দিয়ে পানি তুলার কারণে পানির স্তর নেমে যায়। এই কারণে অগভীর নলকূপ গুলো থেকে পানি পাওয়া যায়না।
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেদুজ্জামান বলেন, আসলে বছরের এই সময়টাতে পানির গভীরতা কমে যায় এজন্য অগভীর অনেক নলকূপে পানির সংকট দেখা যায়। এসব নলকূপ ব্যক্তিগত ভাবে লাগানো হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে যেসব নলকূপ বসানো হয়েছে সেগুলোতে পানির সংকট দেখা দেওয়ার কথা নয়।
মন্তব্য করুন