কুলাউড়ায় তীব্র গরমে বেঁকে যায় রেললাইন, দূর্ঘ/টনা থেকে রক্ষা পেল পাহাড়িকা ট্রেন

মাহফুজ শাকিল : সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের লংলা রেলস্টেশন এলাকায় তীব্র গরমে রেললাইন হঠাৎ বেঁকে যায়। ২৭ মে মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লংলা রেলস্টেশনের নিকটবর্তী নর্তন সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় আটকা পড়ে। চালকের দক্ষতায় বড় ধরনের একটি দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেন কুলাউড়া আসার সময় চলন্ত অবস্থায় দূর থেকে চালক রেললাইন বাঁকা দেখার সাথে সাথেই ইমারজেন্সি ব্রেক করেন। পরে খবর পেয়ে রেলকর্মী ও স্থানীয় লোকজন রেললাইনে পানি, কাদা ও কচুরিপানা দিয়ে স্বাভাবিক করলে প্রায় ৩০ মিনিট পর পুনরায় পাহাড়িকা ট্রেন ধীরগতিতে বাঁকালাইন অতিক্রম করে সিলেটের দিকে ছেড়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন পাহাড়িকা ট্রেনের যাত্রীরা। এসময় চালক দক্ষতার সাথে ট্রেন থামিয়ে নিচে নামেন। যাত্রীদের মধ্যে ভয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেললাইন সচল করা হয়।
কুলাউড়া লংলা সেকশনের রেল কর্মী কামরুল ইসলাম ও সেবুল আহমদ বলেন, তীব্র গরমে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেঁকে যায় প্রায় ৩০ ফুট রেললাইন। রেলকর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় জমি থেকে পানি, কাদা ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন সচল করলে পাহাড়িকা ট্রেন ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে যায়। রাত সাতটা পর্যন্ত কাজ করে পুরোপুরি রেললাইন সচল করা হয়।
কুলাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ মোবাইলে বলেন, তীব্র গরমে লংলা রেলস্টেশন এলাকায় বিকেলে রেললাইন হঠাৎ বেঁকে গেলে সিলেটগামী পাহাড়িকা ট্রেনটি কিছু সময় আটকা পড়ে। পরে রেলকর্মী ও স্থানীয়রা পানি, অন্য সরঞ্জামাদি দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর বিকেলে ৫টার পর ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ কিলোমিটার বেগে সতর্কতার সঙ্গে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার ২৭ মে সিলেটে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ শাহ মো: সজীব হোসাইন।
মন্তব্য করুন