কুলাউড়ায় ডাকাতদের উৎপাত-প্রশাসন সরব

January 23, 2017,

কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়ায় বিগত কয়েকদিন যাবৎ ডাকাতদের উৎপাত বেড়েছে। এতে আতঙ্কিত কুলাউড়া ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে প্রশাসনের হাতে অস্ত্রসহ আটক ডাকাতদের তথ্যমতে বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
জানা যায়, ২২ জানুয়ারী রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টায় কুলাউড়া পৌরসভার উছলাপাড়াস্থ ইউনিলিভার, সাউথ সিলেট কোম্পানীর গোডাউনে ডাকাতির প্রস্তুতিতে মার্কেটের পেছনের গেইট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সিকিউরিটি আকলু মিয়া (৫৫)কে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চোখ-মুখ-হাত বেঁধে ফেলে ডাকাতদল। ওইসময় কোম্পানীর অপর সিকিউরিটি হাবিব মিয়া (৩৫)-কে মারধর করে বাঁধার সময় সে চিৎকার চেচাঁমেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।এসময় ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকেন। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল দ্রুত মার্কেটের পেছন দিক থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, পিস্তলের গুলি উদ্ধার তবে সন্দেহভাজন হিসেবে মার্কেটের সামনে থাকা প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর একটি কাভার্ড ভ্যানসহ ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে গত ১৮ জানুয়ারী কুলাউড়া থানার কালাচর রায়ের এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসময় তার কাছ থেকে একটি লোহার তৈরী দেশীয় পাইপগান এবং ২টি ১২ বোরের রাবার কার্তুজসহ কাঁচন মিয়া (৫৫) নামের এক অস্ত্র বিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাব। এর একদিন পর ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে বাদে-মনসুর এলাকায় এক ঝটিকা অভিযান চালিয়ে একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা ও দু’টি অস্ত্রসহ ২ জনকে করেছে পুলিশ। বাকি আরো ২ টি সিএনজি অটোরিক্সা পালিয়ে যায়। পুলিশের তৎপরতায় এখনো কোন ধরনের অপৃতিকর ঘটনা না ঘটলেও শহরবাসী বেশ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।তবে পুলিশের দাবি শুধু পুলিশের একক প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না সেক্ষেত্রে এলাকার মানুষকে পুলিশের সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রোববার দিবাগত রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সায়হাম রুমেল জানান, এঘটনায় আমার আব্বা প্রথমে সিকিউরিটি হাবিবের চিৎকার শুনতে পান, পরে তিনি এলাকার সবাইকে জড়ো করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ায় ডাকাতরা পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকায় ডাকাতদের প্রতিহত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এবিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবো যাতে এলাকায় কোন ধরনের অনাকাঙ্কিত দূর্ঘটনা না ঘটে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, এবিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, প্রতি শীতকালীন সময়ে ডাকাতরা উপদ্রব করার চেষ্টা করে, উপজেলার সর্বশ্রেণীর মানুষকে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আদলে আসতে হবে। শুধু পুলিশের উপর দায় না চাপিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে সহযোগীতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যানারে এলাকায় এলাকায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com