জুড়ীতে ঋণ দেয়ার নামে এক কর্মকর্তার অভিনব প্রতারণা
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240513_221604.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
সাইফুল ইসলাম সুমন॥ জুড়ীতে ঋণ দেয়ার নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা ইয়াসিন মঞ্জু উদ্দীপন আইসিভিজিডি প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসেবে জুড়ীতে কর্মরত রয়েছেন।
জানা যায়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে আইসিভিজিডি প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বেসরকারি এনজিও সংস্থা উদ্দীপনকে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় জুড়ী উপজেলায় ১২০০ জন নারী সদস্য কে ৪৮ টি গ্রুপের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রকল্পটি তদারকির জন্য উদ্দীপনের সুপারভাইজার হিসেবে ইয়াসিন মঞ্জু কাজ করছেন। যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। আইসিভিজিডি’র সদস্য উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামের জেলী বেগমকে ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ তুলে দেবেন বলে তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। পরে ঋণ দিতে নানা টালবাহানা করলে প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পারেন জেলি বেগম। ঋণ না পেয়ে একপর্যায়ে ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে ইয়াসিন মঞ্জুর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী। সম্প্রতি ইয়াসিন মঞ্জু উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন কে নিয়ে ওই এলাকায় গেলে জেলি বেগম ইয়াসিন মঞ্জুর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যান। পরে ঘুষের পাঁচ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে ছাড়া পান ইয়াসিন মঞ্জু। বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন।
এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদা আক্তার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
উদ্দীপন সিলেট বিভাগীয় সম্বনয়কারী শাহজাহান আলী বলেন, কোন সদস্যকে ঋণ দেয়ার ক্ষমতা ইয়াসিন মঞ্জুর নেই। উদ্দীপনের ঋণদান কর্মসূচি একটি আলাদা প্রকল্প। ভুক্তভোগী জেলি বেগম লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ইয়াসিন মঞ্জুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্দীপন সিলেট বিভাগীয় জোনাল ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন