জুড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার ভুমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি

হারিস মোহাম্মদ : জুড়ীতে এক প্রভাবশালী কর্তৃক পেশী শক্তির বলে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার টিলা দখল করে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারি পরিচালক, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে। জুড়ী উপজেলার পুর্বজুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মিরজান আলীর মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রুপজান বেগম অতিকষ্টে জীবনযাপন করে আসছিলেন। ওই গ্রামের প্রভাবশালী হবিব আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ তার ছেলে রোমান মিয়া মুক্তিযোদ্ধা মিরজাোন আলীর টিলা দখল করে মাটি কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে পঞ্চায়ে ও পুর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠক করে উভয় পক্ষের সীমানা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু আব্দুল হামিদ সালিশের রায় অমান্য করে সীমানার খুটি তুলে ফেলেন এবং টিলা দখল করে মাটি কাটতে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধা মিরজান আলীর স্ত্রী বাধা প্রদান করলে আব্দুল হামিদ ও তার ছেলে রোমান হুমকি দিয়ে বলেন বাড়াবাড়ি করলে রুপজান বেগম এবং তার পুত্রবধূকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। বিবাদীদের হুমকি-দমকিতে অসহায় রুপজান বেগম বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রুপজান বেগম পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক ও জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রুপজান বেগম বলেন,আমার মরহুম স্বামী মিরজজান আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এই দেশের জন্য আমার স্বামী যুদ্ধ করেছেন। অথচ আজ আমি স্বাধীন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অভিযুক্ত আব্দুল হামিদের মুঠোফোনের বারবার যোগাযোগ হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শুক্রবার ১১ এপ্রিল সরজমিন গেলে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বেলাল আহমদ, মাসুক আহমদ,আব্দুল মালিকসহ আরও অনেকেই বলেন, পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষ থেকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিবাদীরা রায় অমান্য করে সীমানা খুঁটি তুলে ফেলেন। পরে পুর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু ভূমি আব্দুল হামিদকে দিয়ে বিষয়টি সমাধা করে দেন।
পুর্বজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো: রুয়েল উদ্দিন বলেন, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি আগে একবার শেষ করে দিয়েছি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারি পরিচালক মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন