তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ কমলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার॥ পল্লী বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মৌলভীবাজার জেলার চা বাগান অদ্যশিত কমলগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিন গুলো ১২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে এ উপজেলায়। গত ঈদুল আজহার পর থেকেই এই অবস্থা চলে আসছে ফলে সকাল সন্ধ্যা ও রাতে ঘুমানোর সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এ উপজেলার পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন চা বাগানের চা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ মৌলভীবাজার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে ফলে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় একটু বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
এদিকে গ্রাহকরা জানান, অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে চা উৎপাদন, কল কারখানা, ওয়ার্কশপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। দিন-রাত মিলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে এতে করে তীব্র গরমে বয়স্ক ও শিশুসহ সব বয়সী মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, কয়েকদিন ধরে লোডশেডিংয়ের কারণে তারা ঠিকমতো লেখা পড়ায় বসতে পারছেন না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের লেখাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা অবসর পাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা শিক্ষক পংকজ সেন বলেন, কয়েকদিন ধরে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎও ঘনঘন চলে যাচ্ছে। রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।
আদমপুর বাজার ব্যবসায়ী আজাদুর রহমান রুবেল বলেন, ঈদের দুদিন পর থেকে খুব বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। বর্তমানে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে এক ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সমস্যা হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার গরু কামারি রেজাউল করিম ফাহিম বলেন, বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং করার কারণে গত ৩-৪ দিন ধরে কামারে ঠিকমত লোকজন কাজ করতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে মাসশেষে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের (ডিজিএম) গোলাম ফারুক মীর লোডশেডিংয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় ৭৭ মেগাওয়াটের মধ্যে ৩০ শতাংশ কম পাচ্ছি। রাতেও বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন