পশুর হাটের খাস কালেকশনের অর্থ সিন্ডিকেটের পকেটে : তথ্য দেওয়া যাবে না বললেন এসিল্যান্ড

July 4, 2023,

আব্দুর রব॥ জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা বাজার পশুর হাটের খাস কালেকশনে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রাজস্ব হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে টোলের অর্ধেক টাকাই যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পকেটে। তবে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী।

জানা গেছে, ১৪২৯ বাংলা সনে ফুলতলা পশুর হাটটি প্রায় অর্ধকোটি টাকায় ইজারা গিয়েছিল। তবে রহস্যজনক কারণে কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ার অজুহাতে চলিত বাংলা সনে (১৪৩০) জুড়ী উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ পশুর হাটটি ইজারা দেওয়া হয়নি।

প্রতি শনিবার এখানে পশুর হাট বসে। এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার কাচা বাজারও বসে। গত ১লা বৈশাখ থেকে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ফুলতলা বাজার পশুর হাটের টোল (খাস কালেকশন) আদায় করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার বিদ্যাধন সিংহ, অফিস সহায়ক সমর কান্তি দে ও হুরমান আলীর অসাধু সিন্ডিকেট খাস কালেকশনে (টোল) আদায় করা টাকার নয়-ছয় করছেন।

তাঁরা রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে টোলের অর্ধেক টাকাই পকেটে ভরে নিচ্ছে। ফুলতলা বাজারের পশুর হাটে প্রতি হাটবারে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকায় পর্যন্ত গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে।

প্রতি হাটবারে দেড়/দুই লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও তারা নামমাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকিটা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সরকারি রাজস্ব লুটের সিদ্ধ হস্ত স্থানীয় ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) সমর কান্তি দে। তিনি হাটের এক কোনায় টেবিলে বসে দুই সহযোগি নিয়ে টোল আদায় করেন। স্থানীয় দালালগোষ্ঠী দ্বারা সেই টেবিলও বেষ্টিত থাকতে দেখা গেছে।

তাদের মাধ্যমে ক্রেতার সাথে গোপন লেনদেন সম্পন্ন হলেই কম মূল্য দেখিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন রশিদ। সবচেয়ে বড় জালিয়াতি হয় স্কেন করা জাল রশিদে। টোল আদায়ের নামে একই রশিদের স্কেন কপি বারবার সরবরাহ করে অর্থ পকেটস্থ করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

ঈদের আগের দিনের হাটবারে ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী তহশিলদার বিদ্যাধন সিংহের নিকট থেকে খাসকালেকশন বুঝে নিচ্ছেন।

প্রতি হাটবারে কি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, কিভাবে কোষাগারে জমা হয় এবং টোল আদায়ে রাজস্ব ফাঁকির ব্যাপারে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড রতন কুমার অধিকারী এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই দেননি। কোনভাবে তথ্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com