বড়লেখায় মহিষ আটক, চাপ সৃষ্টি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নাম বলার জন্য

আব্দুর রব॥ বড়লেখায় সম্প্রতি বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মহিষ আটকের পর অসাধু চক্র বৃদ্ধাকে চাপ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিনের ভাইয়ের নাম বলানোর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ২২ আগস্ট ওই বৃদ্ধা মহিষ আটকের মুল ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। উপজেলার গজভাগ গ্রামের ছাদু মিয়ার বৃদ্ধা মাতা সোমা বেগম (৭০) জানান, মুছেগুলে তাদের পুরাতন বাড়ি রয়েছে। গজভাগের নতুন বাড়ি ও মুছেগুলের পুরাতন বাড়িতে তিনি যাওয়া আসা করেন।
ঘটনার দিন রোববার ২০ আগস্ট বিকেলের দিকে মুছেগুল থেকে খবর পান বেশ কিছু লোক বিজিবি নিয়ে গজভাগের নতুন বাড়ি ঘেরাও করে তার ছেলের পালিত ৪টি মহিষ ভারতীয় চোরাই মহিষ দাবী করে তা আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তিনি গজভাগে ছুটে আসেন। এসময় তার ছেলে ছাদু মিয়া হাওরে ছিলেন। তিনি মহিষগুলো নিজের ছেলের দাবি করলেও উপস্থিত লোকজন ও বিজিবি সদস্যরা তা না মেনে তার উপর নানা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
তারা মহিষগুলোর মালিক দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিনের ভাইয়ের বলতে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।
একপর্যায়ে বাঁচার জন্য ভয়ে তাদের কথা মতো আমি মহিষগুলো ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিনের ভাইয়ের বলেছি। যা সত্য নয়।
প্রকৃতপক্ষে মহিষগুলো আমার ছেলের পালিত ছিল। কিন্তু শত্রুতা করে স্থানীয় লোকজন ভারতীয় চোরাই মহিষ বলে বিবিজিকে দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়। এতে আমার ছেলের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন জানান, ‘ওই দিন আমার বাবা অসুস্থ্য ছিলেন। এর আগে বাবাকে নিয়ে আমরা সিলেটে ছিলাম।
মহিষ আমার ভাইয়ের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমার কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে ‘সম্মান হানি’ করতে বৃদ্ধাকে আমার ভাইয়ের নাম বলাতে বাধ্য করেছে।
মন্তব্য করুন