বড়লেখায় অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধু মৃত্যুর সাথে ১৪ দিন পাঞ্জা লড়ে বিদায় নিলেন
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই গৃহবধু রহিমা বেগম (২৪) ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুধবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। হগভাগী রহিমা বেগম উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে।
রহিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছোটভাই রাজু আহমদ বলেন, বুধবার রাতে তার বোন মারা গেছেন। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো গেল না।
বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার অগ্নিদগ্ধ রহিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত ওসমানী হাসপাতালে সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে রহিমা বেগম (২৪) আরেঙ্গবাদ গ্রামে স্বামী-শ্বাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিশু সন্তানকে নিয়ে ৭ মাস আগে বাবার বাড়ি আশ্রয় নেন। ছেলেকে দেখতে স্বামী শিপন আহমদ (৩১) গত ৩ জুলাই শ্বশুড় বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। পরদিন ভোরে হত্যার উদ্দেশ্যে সে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে পেট্টল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গৃহবধু রহিমার শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ ঝলসে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার পরই পুলিশ গৃহবধুর স্বামী শিপন আহমদ ও শ্বাশুড়ি আনুরি বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মন্তব্য করুন