মাটির গর্তে আ/টকে থাকা প্রতিব/ন্ধী শিশুর পাশে দাঁড়াল উপজেলা প্রশাসন

কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলায় চা-শ্রমিক পরিবারের সাড়ে তিন বছরের সন্তান গোপাল সাঁওতালের পাশে দাঁড়িয়েছে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন।
রোববার ১৫ জুন জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশু গোপাল ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি মাস থেকে গোপালের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য এবং মৌলভীবাজার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র থেকে শিশুটির জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া চা-বাগানের সনচড়িয়া সাঁওতাল ও অনিল সাঁওতালের একমাত্র সন্তান গোপাল। মুরইছড়া চা-বাগানের স্কুলের টিলা এলাকায় একটি ঘরে থাকেন তাঁরা। জন্মের পর থেকে গোপাল স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে বা বসতে পারে না। তাই মা সনচড়িয়া ঘরের মাটির মেঝেতে একটা গর্ত করেছেন। সেই গোলাকার গর্তে বুক পর্যন্ত গোপালকে ঢুকিয়ে রাখা হয়। সেই গর্তে দাঁড় করিয়ে সন্তানকে খাওয়ান, যত্ন করেন মা। না হলে সে ভাঁজ হয়ে পড়ে থাকে। মা সনচড়িয়া ঘরের কাজ সামলানোর পাশাপাশি সারাক্ষণ ছেলেকে দেখে রাখেন। বাবা অনিল সাঁওতাল চা-বাগানে কাজ করেন। অভাব-অনটনের সংসারে সন্তানের চিকিৎসা করানো তাঁদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। মাটির গর্তে আটকে থাকে প্রতিবন্ধী শিশুটি।
শিশুটির মা সনচড়িয়া সাঁওতাল জানান, সরকার থেকে ছেলের চিকিৎসা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। সমাজসেবা কর্মকর্তা তাঁদের রোববার ১৫ জুন উপজেলায় নিয়ে এ কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মহিউদ্দিন বলেন, চলতি মাস থেকে শিশুটির প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য এবং মৌলভীবাজার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
মন্তব্য করুন