মৌলভীবাজারের পর্যটন উন্নয়ন ভাবনা -ড. মো. আব্দুল হামিদ

পর্যটনের ক্ষেত্রে সিলেট-এর বিশেষখ্যাতি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এই বিভাগে সবচেয়ে বেশি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানকার সবুজ বনাঞ্চল, পাহাড়, নদী, খাল এবং চা বাগানের মনোরম দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। কিন্তু মোটের ওপরশ্রীমঙ্গলের চা বাগান, মাধবকুন্ডু জলপ্রপাত এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ট্যুর প্ল্যানে এই জায়গাগুলো অবশ্যই থাকে। কিন্তু এগুলোই কি মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান? না, এর বাইরেও অসংখ্য প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান ও সাংস্কৃতিক উপকরণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে দর্শনার্থীরা খুব একটা জানে না; ভ্রমণ পরিকল্পনায় স্থান পায় না।
জেলায় অসংখ্য ভার্জিন পর্যটন এলাকা থাকা সত্ত্বেও হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে পর্যটন মৌসুমেমানুষের প্রচ- ভীড় হয়। ক্যারিং ক্যাপাসিটির চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষের পদচারণায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে। কিন্তু পর্যটকদেরঅন্যান্য স্থানগুলোয়ছড়িয়ে দিতে পারলে তারাও বৈচিত্র্যময় দৃশ্য উপভোগ করতো;প্রাকৃতিক সম্পদওরক্ষা পেত।তাই আড়ালে থাকাপর্যটন আকর্ষণগুলো চিহ্নিত করা, সেগুলোর উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া এবং টার্গেট মার্কেটের কাছে সেগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপন করা দরকার। সেটা সম্ভব হলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা ট্যুরিজম থেকে উপকৃত হবে। এই উপলক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে সাধারণ মানুষের জীবনও অর্থনৈতিক ধারা হবে গতিশীল।
পাহাড়, নদী, খাল ও ছড়াবেষ্টিত হওয়ায় মৌলভীবাজারের বহু দুর্গমএলাকায় এখনো যাতায়াত সহজ নয়। তাছাড়া দিনে যেখানেই ঘুরতে যাক, রাতে শহরে এসে রাত্রিযাপন করতে হবেÑ এটা পর্যটন বিকাশে বড় অন্তরায়। বরংপর্যটকদের প্রকৃতির কাছাকাছি বা স্থানীয় অধিবাসীদের আতিথেয়তায় কয়েকটা দিন কাটানোর ব্যবস্থা করা দরকার।সেটা করা সম্ভব হলে ভ্রমণ ব্যয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে। শহর থেকে দূরে ছোট ছোট পর্যটন এলাকা গড়ে উঠবে। স্থানীয়রা নিজেদের মতো করে সেগুলোর উন্নয়ন ও প্রচার করবে। নিজেরাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নানাদ্রব্যের বাজার সৃষ্টি হবে।
আমরা প্রায়শ ভাবিÑ পর্যটন উন্নয়ন করা সরকারের দায়িত্ব। বড় বাজেটের কাজগুলোতে সরকারী বরাদ্দের প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসাটা জরুরি। মানুষ ফাইভস্টার হোটেলের সার্ভিস পেতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসে না। বরং সেখানকার মেঠোপথের মধ্যেও তারা এক ধরনের তৃপ্তি খুঁজে পায়। যেমনবিছনাকান্দি থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে মাউলিনং গ্রাম এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম’ বলে স্বীকৃতি পেয়েছিল। সেই ধারায়প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পর্যটক গোটা দুনিয়া থেকে সেই গ্রাম দেখতে আসে। অথচ আমাদেরও এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম (হবিগঞ্জের বানিয়াচং) রয়েছে। কিন্তু আমরা সেটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে বা প্রমোট করতে পেরেছি?
একজন পর্যটক নিজ চেষ্টায় মৌলভীবাজার ভ্রমণে আগ্রহী হলেপ্রথম সংকট হয়Ñ প্রয়োজনীয় ও সমন্বিত তথ্যের অভাব। এমন কোনো ওয়েবসাইট বা তথ্যভা-ার নাই যেখান থেকে একজন সম্ভাব্য পর্যটক বিস্তারিত (রুট, পর্যটন আকষর্ণ, আবাসন, পরিবহণ, বিনোদন ইত্যাদি সংক্রান্ত) ধারণা পেতে পারে। তাছাড়া নিজ উদ্যোগে এখানে পৌঁছার পরে স্বল্পতম সময়ে, কম খরচে বেস্ট ট্যুরিজম এক্সপেরিয়েন্স পাওয়ার জন্য কোথায়, কার কাছে যাবেন… তাও স্পষ্ট নয়।
পাশাপাশি ঠকে যাওয়া বা ভোগান্তির ভয় তোরয়েছেই। ফলে আগ্রহ থাকলেও তারা দুর্গম এলাকাগুলোতে যেতে পারেন না। এছাড়া শহরকেন্দ্রীক একটা পিছুটান সবসময় কাজ করে। এটা নৈসর্গিক পর্যটন বিকাশের পথে অন্তরায়। বরং ট্যুরিস্ট যত গহীনে যেতে চাইবে তাকে সাপোর্ট দেওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের দেশে কেউ বিপদে পড়লে অন্যেরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেÑ তার নিশ্চয়তা নাই। এমনকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যে যথাযথভাবে রেসপন্স করবে তাও অনিশ্চিত। ফলে অ্যাডভেঞ্চার বা এক্সপ্লোর করার মানসিকতা খুব একটা অবশিষ্ট থাকে না।
ভ্রমণকালে সাপ বা পোকামাকড় কামড় দিলে, পানিতে পড়ে গেলে, আগুন লাগলে কিংবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে দ্রুততম সময়ে উদ্ধার করে তাদের সর্বোত্তম সেবা দেওয়া হবেÑ এমন আস্থার পরিবেশ এখনো গড়ে উঠেনি। ফলে তরুণদের কেউ কেউ সাহস করে গভীর পর্যন্ত ঘুরে আসলেও বয়স্ক, নারী ও শিশুরা সাথে থাকলে শহরকেন্দ্রীক ভ্রমণ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।অথচ মৌলভীবাজার বৈশিষ্ট্যগতভাবেই প্রকৃতির গভীরে অ্যাডভেঞ্চারমূলক পর্যটনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু অবকাঠামো ও অন্যান্য সাপোর্ট সার্ভিসের অভাবে তার বহুলাংশ অনুন্মোচিত রয়ে যাচ্ছে।
অত্র অঞ্চলে ২৬টি নৃগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক ও জীবনাচার। তাদের ব্যাপারে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। অথচ সেগুলোকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের উদ্যোগ অপ্রতুল। এমনকি চা বাগানের কর্মীদের সম্পর্কেবিস্তারিত জানারসুযোগ নাই। তাছাড়া অধিকাংশ চা বাগান কর্তৃপক্ষ চায় না যে, পর্যটকেরা বাগান ঘুরে দেখুক। ফলে অনেকের ভ্রমণ শেষে এক ধরনের অতৃপ্তি রয়ে যায়। অনেকে চায়ের দেশ থেকে অরিজিনাল চা কিনতে গিয়েপ্রতারিত হন। ফলে ভ্রমণ শেষে ইতিবাচক মনোভাব অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পাহাড়-পর্বত-লেক বেষ্ঠিত পর্যটন এলাকায় প্রকৃতির কাছাকাছি রাত্রিযাপন করতে না পারার অভিযোগ অনেকেরই রয়েছে। তাছাড়া বাসের হেলপারও সিএনজি ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্যে অনেকেই বিরক্ত। যত্রতত্র পার্কিং, উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলা, চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি পর্যটকদের খুব বিরক্ত করে।এছাড়া হাতে গোনা কয়েকটি স্থানের উপর চাপ বাড়ায় সেগুলোর সৌন্দর্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেখানকার পশু-পাখি ও বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে।
প্রকৃতি এই অঞ্চলকে দিয়েছে পর্যটনের জন্য এক কমপ্লিট প্যাকেজ। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগ ও তার সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে নি¤œলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে :
মৌলভীবাজার জেলাকে একটি পর্যটন গন্তব্য ধরে তার সামগ্রিক উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও প্রমোশনের জন্য সক্রিয় অংশীজনদের নিয়ে একটি ডিএমও গঠন করা জরুরি।এই প্রতিষ্ঠানটি বছরব্যাপী অত্র অঞ্চলের পর্যটন উন্নয়নের সম্ভাবনা খুঁজে বের করবে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পর্যটকদের দরকারি তথ্য দিবে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র সন্তোষজনক সমাধান দেবে। সর্বোপরি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পরিবর্তে ট্যুরিস্টরা যেন মৌলভীবাজার ভ্রমণ করে তাতে উদ্বুদ্ধ করবে। বিভিন্ন এক্সিবিশন বা মেলার আয়োজন করবে। ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবগুলো বর্ণিল আকারে উদযাপন করবে।
প্রাকৃতিক সম্পদের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট পর্যটন আকর্ষণ থাকা দরকার। যেমনশিশুপার্ক, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, খেলার মাঠ ইত্যাদি। বিশেষত এখানে চা ও বন সংক্রান্ত গবেষণা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকা উচিত। তাছাড়া নদী ও খালের সাথে সংশ্লিষ্ট নৌকাভ্রমণ, কায়াকিং, মাছ ধরা, সাঁতার কাটার আয়োজন রাখা যায়।অন্যদিকে, হাইকিং, ক্যাম্পিং, ক্যাবল কার, বারবিকিউ-এর জন্য কিছু সাইটকে জনপ্রিয় করা যায়। পর্যটকেরা সেগুলোর জন্যই সেই সাইটেযাবে, রাত্রিযাপন করবে ও বিভিন্ন উৎসবে অংশ নেবে। একজন মানুষ সারাদিন বিভিন্ন স্পট ভ্রমণের পর সন্ধ্যায় বা রাতে কী করবেÑ সেই প্রশ্নের জবাব থাকতে হবে।
প্রকৃতির ক্ষতি না করেও পর্যটকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পশু-প্রাণীর জন্য অভয়ারণ্য (সাফারিপার্ক) গড়ে তোলা জরুরি। পাবলিক পয়েন্টে যাত্রী ছাউনি, ওয়াশরুম ও সাইনবোর্ড থাকা দরকার। জাতীয় টুর্ণামেন্টগুলো শহরকেন্দ্রীক না করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে করা যায়। তাছাড়া খোলামেলা জায়গায় আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল স্থাপন করলে গোটাবছর মানুষ সেখানে আসবে। দেশে চিকিৎসা পর্যটন বিকশিত হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত ট্যাক্সি ও সিএনজি সার্ভিস চালু করা যেতে পারে যাতে মানুষ নিশ্চিতে রাত-বিরাতে তাদের গাড়িতে চলাচল করতে পারে।
আমাদের দেশে এখনো ট্যুর গাইড পেশাটি সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু একজন দক্ষ গাইড ট্যুরকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম। তাতে নানাভাবে ভ্যালু অ্যাড করে। তাছাড়া প্রফেশনাল ট্রাভেল এজেন্সি একটি অঞ্চলের পর্যটন উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় নানারকম প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে পারে। কিছুদিন আগে ‘সম্প্রীতি উৎসব’ হয়েছে, নানারকম ধর্মীয় উৎসব ঘটা করে উদযাপন হয়। সেগুলো মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়া দরকার। সমশেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে পর্যটনসহ অত্র অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন গতিশীল হবে।
মৌলভীবাজারের পর্যটন অনেকটাই শ্রীমঙ্গলকেন্দ্রীক। অথচ জুড়ি উপজেলায় অসংখ্য আকর্ষণীয় পর্যটন উপকরণ রয়েছে। কিন্তুলোকমুখে তার প্রচার না থাকায় খুব বেশি মানুষ সেখানে ভ্রমণ করতে যায় না। ঠিক তেমনিভাবে পাতারিয়া ও ইসাবেলা ঝর্ণা, লাঠিটিলা, লাল টিলা, গরম টিলা, দার্জিলিং টিলা, বিলাসছড়া লেক, হাইল হাওর, গলফ মাঠ, ঝাউবন, অসংখ্য নাটমন্দির, গাজীপুর চা বাগান প্রভৃতি আকর্ষণ প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছে।
আবার টাঙ্গুয়ার হাওর যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে হাকালুকি তেমনটা পায়নি। অথচ হাকালুকিতে ছয় ঋতুতে ভিন্নরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। বাইক্কা বিলে রয়েছে মাছ ও পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য। এছাড়া রয়েছে ‘জলের গ্রাম’-এর বিশেষত্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে,একজন পর্যটক মৌলভীবাজারের ১০ শতাংশ সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারে না। তাই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত স্পটগুলোর ব্যাপক প্রচার হওয়া দরকার। সেগুলোর স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ইমেজ গড়ে তুলতে কমিউনিটি ট্যুরিজম বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে।
আমরা যেমন পৃথিবী পেয়েছি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তার চেয়ে উত্তম আবাসস্থল রেখে যাওয়া আমাদের কর্তব্য। তাই টিলা কাটা, বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ করা, বন্য প্রাণীদের হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে প্রকৃতি আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই প্রকৃতির অনন্য সম্পদগুলোকে রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। সেগুলোর সংরক্ষণ ও বিস্তারে আন্তরিক হলে তবেই আমাদের সন্তানেরা পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী পাবে। এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সর্বোপরি কথা হলো, মানুষ এখনো সিলেট ভ্রমণের পথে মৌলভীবাজারে একরাতের জন্য যাত্রাবিরতি দেয়। কিন্তু পাহাড়, জঙ্গল, খাল-বিলে ভরা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটি নিজেই স্বতন্ত্র এক ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠার দাবি রাখে। আমাদের কর্তব্য হলো এটাকে আকর্ষণীয় এক পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার লক্ষ্যে মিলেমিশে কাজ করা। সেটা সম্ভব হলে প্রকৃতিকে অক্ষত রেখেই অর্থ ও খ্যাতি অর্জন করা যাবে। সেক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ ফর্মুলা ট্রাই করা যেতে পারে। যৌথ উদ্যোগে প্রকৃতির অপার এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা করা সম্ভব হলে মৌলভীবাজারের পাশাপাশিদেশের অর্থনীতিসমৃদ্ধ হবে এবং দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়িয়ে পড়বে… সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিশেষ নোট : গত ৫ই মার্চ তারিখে জেলা প্রশাসন আয়োজিত‘মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ (সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত)।
ড. মো. আব্দুল হামিদ : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ব বিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর অতিরিক্ত পরিচালক।
মন্তব্য করুন