শ্রীমঙ্গলে বইছে মৃদু শৈত প্রবাহ

বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলে বইছে মৃদু শৈত প্রবাহ। এতে প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে এ জেলায়। শনিবার ১ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রাও ছিলো সারা দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রার কাছাকাছি। ১ জানুয়ারী শনিবার সারাদেশে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিলো তেতুলীয়ায় ৯.৪ ডিগ্রী সেলসিয়ার্স এবং শ্রীমঙ্গলে ছিলো ৯.৬ ডিগ্রী।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান,শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৬ ডিগ্রী। এর আগে শুক্রবার ছিলো ১০.০৭ ডিগ্রী। তিনি জানান, এখন তাপমাত্রা ক্রমশই নামবে। সাথে মৃদু শৈত প্রবাহও থাকবে। এতে কয়েকদিন শীতের প্রকৌপ বাড়তে পাড়ে।
এদিকে কয়েক দিন ধরে বিকেল থেকে মৃদু বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হতে থাকে। রাতে শীতের তিব্রতা বাড়তে থাকে। শেষ রাতে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাবু হতে থাকে জনপদ। এ অবস্থায় চিন্নমূল মানুষ সহ জেলার চা শ্রমিকরা পড়েছেন দূভোর্গে। অন্যান্য বছরের ন্যায় বে-সরকারী এবং সরকারীভাবে কম্বল বিতরণ আনুপাতিকহারে কম লক্ষ করা যাচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের অপর পর্যবেক্ষন কর্মকর্তা মাসুম আহমদ জানান,এক সপ্তাহ থেকে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ধীরে ধীরে এখানকার তাপমাত্রা কমছে। অতীত রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।
এদিকে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভীর লক্ষ করা গেছে। অনেকে শীত থেকে রক্ষা পেতে সকাল বেলা ও সন্ধ্যা বেলা খড়কুট জ¦ালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে চাপ কম। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, জেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ঠান্ডাজনিত রোগের ভালো চিকিৎসা দেয়া হয়। কউিনিটি ক্লিনিক থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন। এদের মধ্যে যারা একটু বেশি অসুস্থ যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন