সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল কমলগঞ্জে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারি লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হলরুমে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করাতে দেখা গেছে। শনিবার ২৪ জুলাই কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার স্কুল এন্ড কলেজে এ চিত্র দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, সরকার করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউনের এই সময়ে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পতনউষার স্কুল এন্ড কলেজে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শনিবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় হলরুমে শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। গাদাগাদি করে প্রতিটি বেঞ্চে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়। পরবর্তীতে এ্যাসাইনমেন্টের বিপরীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একশ’ টাকা হারে আদায় করেন শিক্ষকরা। টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ভাইরাল হতে দেখা যায়।
ইতিপুর্বেও লকডাউন চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গত ১৫ জুন থেকে ওই স্কুলের হলরুমে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও নেয়া হয়। সে সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ যাওয়ার পর ১৮ জুন থেকে পরীক্ষা নেয়া বন্ধ রাখা হয়।
অভিভাবক আফরোজ আলী ও তোয়াবুর রহমানসহ স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান, আসলে বর্তমান এই সময়ে গ্রামগঞ্জে করোনা মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর, কাশি রয়েছে। উপজেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গাদাগাদি করা মোটেও সমীচিন নয়।
অভিযোগ বিষয়ে পতনউষার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়েজ আহমদ বলেন, আসলে এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণের সময় শনিবার শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভিড় ছিল। তবে আজ রবিবার থেকে গাদাগাদি নেই। তাছাড়া শিক্ষকরা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সেসব শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন বলেন, এ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ে কারো কাছ থেকে ফি নেয়া যাবে না। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন