সোনাইছড়া গাংঙ্গের সিলিকা বালু উত্তোলনে মানা হচ্ছে না উচ্চ আদালতের নির্দেশ

June 19, 2023,

মোঃ সালেহ আহমদ (লিপক) শ্রীমঙ্গল উপজেলার লামুয়া মৌজার সোনাইছড়া গাঙ্গের সিলিকা বালু উত্তোলন নিয়ে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকবাসীর দাবি, ইজারাদার নির্দিষ্ট স্থানে বালু উত্তোলন না করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রীজের নীচ, কবরস্থান ও শ্মশ্বানের নিকট থেকে সিলিকা বালু তোলার কারণে এইসব স্থান হুমকির মুখে পড়েছে।ছড়ার পাশের এইসব স্থান ধ্বসে পড়ার সাথে সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। মানা হচ্ছেনা পরিবেশ আইন।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফরমান মিয়া বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ৬০ দিনের স্থিতাবস্থা বজায় রেখে জবাব দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। রিট পিটিশন নং ৫৯৩৫/২৩।

রিট পিটশনকারী ফরমান মিয়ার জেলা প্রশাসকের নিকট করা আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, সোনাইছড়া গাংঙ্গে ইজারা গ্রহীতা আবরু মিয়া সিলিকা বালু উত্তোলন করছেন সোনাইছড়া গাঙ্গের কবরস্থান, শ্মশ্বান ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রীজের নীচ থেকে।

যার ফলে কবরস্থান, শ্মশ্বান ঘাট, ব্রীজের নীচ ধ্বসে যাচ্ছে। ধ্বসে যাচ্ছে এলাকার মানুষের জমিজমাসহ ঘর বাড়ি। এই সিলিকা বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিপর্যস্থ হচ্ছে।

সোনাইছড়া চা বাগানের কর্মচারী রাজা মিয়া বলেন, এই সিলিকা বালু উত্তোলনের কারণে চা বাগানের জমির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে সোনাইছড়া বাগানের কর্তৃপক্ষ বারবার আপত্তি করার পরও বালু উত্তোলনকারী আবরু মিয়া কোন কর্ণপাত করেননি।

পরবর্তীতে সোনাইছড়া চা বাগানের ম্যানেজার তার কর্মচারী রাজা মিয়া, জাকির, রবিন্দ্র এবং সিরাজুলকে বালু উত্তোলন দেখার জন্য পাহাড়াদার নিয়োগ করেন। তারা আপত্তি করার পরও তাদের বাধাঁ না মানায় ম্যানেজার তাদের ২ সাপ্তাহের হাজিরা কেটে নেন।

সিরাজনগর গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, এই বালু উত্তোলনের কারণে তার ঘর বাড়ি জমিজমা ধ্বসে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবী, সোনাইছড়া গাঙ্গ থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন বন্ধ করা হোক। বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে সোনাইছড়া গাংঙ্গের আশপাশের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

রিট পিটিশনকারী ফরমান মিয়া বলেন, আমি মহামন্য হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে পৌছে দিয়েছি।

হাইকোর্ট ৬০ দিনের স্থিতাবস্থার আদেশ দিলেও প্রশাসন কোন ভূমিকা নিচ্ছেনা। তাঁরা হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, সোনাইছড়া গাংঙ্গে সিলিকা বালুর উত্তোলনের বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্ট খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট জবাব চেয়েছেন।

রিট পিটিশনে তাকে ৬নং বিবাদি করা হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার নিকট কপি এখনো আসেনি। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com