কমলগঞ্জে জমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানির অভিযোগ

June 4, 2021,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জোর পূর্বক জমি দখল ও এলাকার নিরীহ মানুষেদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঊষার-রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান বাদশাহর এহেন কার্যক্রমের প্রতিবাদে ৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে পতনউষারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভা করেন।
এলাকাবাসী জানান, পতনঊষার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঊষার-রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল করিম (মনির মাষ্টার) এর ছেলে মুজিবুর রহমান বাদশাহ গত কয়েক বছর যাবত বখাটে ছেলেদের নিয়ে এলাকায় ঘুরাফেরা করে। সে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নজির আলীর পরিবারের ভুমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে শ্রীমতপুর গ্রামের লতিফ খান, ব্রাহ্মনউষার গ্রামের মছদ্দর আলী, সুফিয়ান মিয়া, আব্দুল মালিকসহ গ্রামের নিরীহ লোকদের উপর মামলা ও ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার রাতে মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুল বাছিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ অলি আহমদ খান, লোকমান মিয়া, সাজ্জাদ চৌধুরী, দুলাল চৌধুরী, সমেদ আলী, মনু মিয়া প্রমুখ।
আলাপকালে এলাকার রহিম মিয়া, রইছ মিয়া, উসমান আলী, সরোয়ার মিয়া, নাসির মিয়া, রকিব আলী, সাজনা বেগম, আশরাফ আলী বলেন, মুজিবুর রহমান বাদশাহর যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ট। বাদশাহর নানা কার্যক্রমে ইতিপূর্বে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে এবং কথায় কথায় মামলা-মোকদ্দমা ও পুলিশ দিয়ে আমাদের মতো নিরীহ লোকদের হয়রানি করছে। তারা আরও বলেন, বাদশাহ দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিল। প্রবাস থেকে দেশে ফেরার সময় ৬ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে ধরা পড়ে এবং সে জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়।
এব্যাপারে মুজিবুর রহমান বাদশাহ বলেন, আমার উপর এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য নয়। সরকারি রাস্তায় পাকা দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে তারা আমাকে হুমকি ধামকি দেয়ায় আমি থানায় জিডি করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

৩টি মন্তব্য “কমলগঞ্জে জমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষদের হয়রানির অভিযোগ”

  1. যারা সবা করেছেন তাড়া বিশেষ ভাবে ফিরোজ রহিম রকিব সেলওয়ার কয়সর তাড়া সরকারি রাস্তা ব্যবহার করতে বাদা দেয় এ নিয়ে এর আগেও অনেক সমস্যা হয়েছে তাদের সাথে গ্রাম বাসির পড়ে তাড়া লিখিত দেয় যে রাস্তায় আর সমস্যা করবে না কিন্তু এখন তারা রাতের অন্ধকারে সরকারি রাস্তায় দেয়াল দিয়েছে এবং বাদসা মিয়া সহ তাদের বাড়ির মানুষ কে সহ গ্রামের অনেক মানুষকে যাতায়াতে বাদা দিচ্ছে আপনাদের উচিৎ ছিল গ্রামের আরও মানুষের মতামত জানা এবং যেখান থেকে ঘটনার সুত্রপাত সেই জায়গা পরিদর্শন করা সেখানে গেলে বুজতে পারতেন তাড়া মুক্তিযুদ্ধার নাম বাংগিয়ে কিভাবে তাড়া প্রভাব খাটাচ্ছে তাদের একাধিক পরিবার একি বাড়িতে থাকায় তাদের লোক বল অনেক বেশি তাড়া বাদশা মিয়া কে দেশিয় অস্র দিয়ে অনেক বার ধাওয়া করেছে তাই তাদের বিরুদ্ধে থানায় বাদশা মিয়া অভিযোগ করেছেন বিঃদ্রঃ প্রতিবাদ সভায় তাড়া কিছু মানুষকে টাকার বিনিময়ে উপস্তিত করেছে আর আপনারা এখানে কিছু নাম দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না

  2. এখানে থ দেখছি অলি খান লতিব খা লোকমান সাজাদ মিয়া সহ আরও 2জন আছেন তাদের নাম নাই বল্লাম তাড়া টাকা খেয়ে এসেছেন আর এদের পরে সবাই তাদের বাপারি খালিয়া বাড়ির লোক আর মহিলা সজনা হচ্ছে পতিতা তার ছেলে সাকিল জেলে আছে কিছু দিন আগে চুরি হওয়া গরু সহ থাকে পুলিশ আটক করে অই পতিতা মহিলা ও একি বাড়ির

  3. রাস্তা নিয়া খালুয়া বাড়ির ফিরোজ তার বাগিনা কয়ছর সেলওয়ার রকিব মছদ্দর সমস্যা করে

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com