টিকটকারের তরুণী ধর্ষণ, ফেইসবুকে ভিডিও ভাইরাল

বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলে মিথ্যে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ফেইসবুক টিকটকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক টিকটকারের নাম মাসুদ গণি মান্না (২৫)। সে হবিগঞ্জ জেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ওই তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে শ্রীমঙ্গল তামিম রিসোর্টে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারন করে। পরে ফেক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণী শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করলে বুধবার ভোররাতে সিলেট জেলার টুকেরপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্নাকে আটক করা হয়। আটকৃত এ টিকটকারের মোবাইল ফোন থেকে তামীম রিসোর্টে ওই তরুণীকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করা হয়।
ওই তরুণী তার মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, গত দেড় বছর ধরে ফেইসবুকের মাধ্যমে মাসুদ গণি মান্নার সাথে তার পরিচয়। এক পর্যায়ে সম্পর্ক ঘনিভূত হলে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তিনিও রাজী হন। এক পর্যায়ে তার সাথে দেখা করতে আসেন শ্রীমঙ্গল তামীম রির্সোটে। এখানে তার ইচ্ছার বিরোদ্ধেসে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের পর বিয়ে করাতো দুরের কথা সে ওই দিন কৌশলে তার অগুচরে তাকে ধর্ষণের ভিডিও করে। যা হাঁসি-খুশি নামে একটি ফেইসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে তার আত্মীয় স্বজনের ম্যাসেঞ্জারে সেন্ড করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম অর রশিদ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবককে বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষণের শিকার যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পণ্যগ্রাফী আইনে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন